ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কাশ্মিরে মসজিদে অভিযানে ২ সেনাসহ নিহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৭

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের একটি মসজিদ ও গ্রামে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে দুই ভারতীয় সেনা ও তিন হিজবুল মুজাহিদীন সদস্য নিহত হয়েছেন। কাশ্মিরের শ্রীনগরের একটি গ্রামে আইন-শৃঙ্খলবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের এ ঘটনা শনিবার রাতে ঘটেছে।

পাকিস্তানি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, কাশ্মিরের শ্রীনগরের শোপিয়ানের একটি মসজিদে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে স্থানীয় একটি গ্রামের অন্তত চারটি বাড়িতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, বিদ্রোহীরা গোপন বৈঠক করছেন এমন খবর পাওয়ার পর কাশ্মিরের প্রধান শহর শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের আওনিরা গ্রাম ঘিরে রেখেছেন শত শত ভারতীয় সেনাসদস্য।

কাশ্মির পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা মুনির খান আল-জাজিরাকে বলেন, শোপিয়ানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, পাঁচ বিদ্রোহীর উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর আমরা শনিবার সন্ধ্যা থেকে ওই এলাকা ঘিরে রেখেছিলাম। সকালের দিকে আমরা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

মুনির খান বলেন, নিহত তিনজনই কাশ্মির হিজবুল মুজাহিদীন গোষ্ঠীর সদস্য। পাশের গ্রাম থেকে সেখানে এসেছিল। গোলাগুলিতে ভারতীয় তিন সেনা আহত হয়েছেন।

এদিকে হিজবুল মুজাহিদীনের তিন সদস্যের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই হাজার হাজার কাশ্মিরি রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন। এসময় ভারতবিরোধী স্লোগান ও ভারতীয় সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

পৃথক ঘটনায় রোববার সকালের দিকে কাশ্মিরের উত্তরাঞ্চলের হাজিনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে গুলি চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।

kashmir

কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরে কাশ্মির আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ১৩০ কাশ্মিরি ও ৩৯ সেনা নিহত হয়েছেন। ভারতীয সেনাবাহিনী কাশ্মিরের বিভিন্ন অংশে প্রতিনিয়ত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর ভারত পাকিস্তানের জন্ম। সেই সময় থেকে কাশ্মিরও দুই খণ্ডে বিভক্ত। দুই দেশই কাশ্মিরকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে।

ভারত শাসিত কাশ্মিরে বিদ্রোহীরা দুটি দাবিতে ১৯৮৯ সাল থেকে লড়াই করে আসছে। দাবি দুটি হচ্ছে, হয় কাশ্মিরকে স্বাধীনতা দিতে হবে অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এই দুই দাবিতে আন্দোলন-বিক্ষোভ, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার কাশ্মিরি প্রাণ হারিয়েছেন।

এসআইএস/পিআর

আরও পড়ুন