ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রেমন্ডের মালিক এখন নিঃস্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

বারো হাজার কোটি টাকার সংস্থার মালিক ছিলেন তিনি। ভারতের ধনকুবেরদের মধ্যে তার নাম ছিল প্রথম সারিতে। শিল্পপতি হিসেবে বিখ্যাত হওয়া ছাড়াও বিমান চালানোতে সমান পারদর্শী ছিলেন।

ষাট পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় প্রতিনিয়ত নেমে পড়তেন রেমন্ড সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিজয়পত সিংহানিয়া।

নিজের বিলাসবহুল বাংলো ছেড়ে বর্তমানে মুম্বাইয়ের একটি সোসাইটিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন এই শিল্পপতি। আর এর জন্য নিজের ছেলে গৌতম সিংহানিয়ার দিকেই আঙুল তুলেছেন ৭৮ বছরের বিজয়পত। এক সময়ের এই ধনকুবেরর দাবি, ছেলের জন্যই বর্তমানে প্রায় নিঃস্ব অবস্থা তার।

ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে সম্পত্তির বিবাদ নিয়ে বাবা-মায়ের আইনি লড়াই আদালতে গড়ানোর ঘটনা নতুন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই সম্পত্তির দখল নিতে সন্তান বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।

শুনতে অবাক লাগলেও, নিজের শিল্পপতি ছেলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দু’দিন আগেই বোম্বের হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ৩৬ তলা জে কে হাউজের একটি ডুপ্লেক্সের অধিকার দাবি করেছেন তিনি।

নিজের নিদারুণ আর্থিক অবস্থার কথা আদালতকে জানিয়েছেন এই শিল্পপতি। বর্তমানে গৌতমই রেমন্ডের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

এক সময়ে মুম্বইয়ের অভিজাত মালাবার হিলের বিলাসবহুল এই জে কে হাউজেই থাকতেন বিজয়। যে বাড়িটির উচ্চতা মুকেশ আম্বানীর বাড়ি অ্যান্টিলিয়ার থেকেও বেশি।

এই শিল্পপতির আইনজীবী অভিযোগ করেন, রেমন্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তার সমস্ত সম্পত্তি ছেলের নামে করে দেওয়ার পরেই বিজয়পতকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন ছেলে গৌতম। রেমন্ডে নিজের নামে থাকা প্রায় হাজার কোটি টাকার শেয়ারও ছেলের নামে করে দিয়েছিলেন বিজয়পত।

নিজের কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে রেমন্ডকে ভারতে তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা পোশাকের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিজয়পত সিংহানিয়া। রেমন্ডের চেয়ারম্যান থাকার পাশাপাশি প্রায় এক বছর মুম্বাইয়ের শেরিফও ছিলেন বিজয়।

আর সেই তিনিই এখন নিজের বিলাসবহুল বাংলো ছেড়ে মুম্বাইয়ের একটি অভিজাত সোসাইটিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন। যা তার মতো বিখ্যাত শিল্পপতির কাছে চরম অপমানজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।

টিটিএন/জেআইএম

আরও পড়ুন