ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

চাঞ্চল্যকর ই-মেইল ফাঁস : তালেবানের কার্যালয় খুলতে অামিরাতের তদবির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ০১ আগস্ট ২০১৭

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী অাবুধাবিতে তালেবানের কার্যালয় চালু করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল ওয়াশিংটনে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতায়বা। আমিরাতের এই রাষ্ট্রদূতের ফাঁস হওয়া ই-মেইলের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থনে আমিরাতের অভিযোগের সঙ্গে ই-মেইলে পাওয়া তথ্যগুলো পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। অবশ্য মিসর, সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিযোগ, আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চক্রান্তের অংশ হিসাবে কাতারে তালেবানের কার্যালয় চালু রাখা হয়েছে।

২০১৩ সালে কাতারে তালেবানের কার্যালয় চালু করা হয়। আফগানিস্তানের সঙ্গে মার্কিন শান্তি আলোচনার অংশ হিসাবেই তা করা হয়েছিল; তবে তালেবান কিংবা তাদের মতাদর্শ সমর্থনের জন্য চালু করা হয়নি বলে জানিয়েছে কাতার।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে রাগান্বিত হয়ে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, তালেবানরা কাতারে যা করার করে ফেলেছে, আমিরাতে নয়। রাষ্ট্রদূতের হটমেইল অ্যাকাউন্ট ফাঁসের পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

কাতার তালেবানের আশ্রয়দাতা হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে ওতায়বা লেখেন, আমি একজনের (আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ফোন কল পেয়েছি। কিন্তু সেটা আমি খোলাসা করে বলতে পারব না।

২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আরেকটি ই-মেইল ফাঁসের ঘটনা ঘটে। ওই মেইলে তালেবানের কার্যালয়ের অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানতে চান আমিরাতের এক কর্মকর্তা।

কূটনীতিক মুহাম্মদ মাহমুদ আল-খাজা লন্ডন টাইমসে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। সেই নিবন্ধে দোহায় তালেবানের কার্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিষয়েও উল্লেখ আছে।

আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের ই-মেইলগুলো সম্প্রতি ফাঁস করেছে গ্লোবাললিকস। নিউজউইককে গ্লোবাললিকসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে দেশগুলো যা করছে, ই-মেইল ফাঁসের ঘটনা দেশগুলোর সবচেয়ে বড় ভণ্ডামি প্রমাণ করেছে।

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট, আল জাজিরা।

কেএ/এসআইএস/আরআইপি

আরও পড়ুন