চীনকে নিয়ে হতাশ ট্রাম্প
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কর্মসূচি নিয়ে বিশেষ কিছু না করায় চীনের প্রতি নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক টুইটে তিনি লিখেছেন, চীনকে কিছু না করে থাকতে দেবেন না তিনি।
একমাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয় আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরদিনই এ কথা বললেন ট্রাম্প। ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, গোটা যুক্তরাষ্ট্র তাদের হামলার আওতাধ্যে রয়েছে।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানি বিমান সঙ্গে নিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে অনুশীলন করেছে দুটি মার্কিন বি-১ বোমারু বিমান।
উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর এক বিবৃতিতে প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল টেরেনস জে ও’শঘেনসি বলেছেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি উত্তর কোরিয়।
উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে শনিবার চীন সবপক্ষকে সংযত থাকান আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, চীনকে নিয়ে আমি খুবই হতাশ। অতীতে আমাদের বোকা নেতাগুলো তাদের একবছরের বাণিজ্যে কোটি কোটি ডলার আয়ের সুযোগ দিয়েছেন, কিন্তু তারপরও উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে তারা আমাদের জন্য কিছুই করে না। শুধু কথাই বলে। আমার এটা আর চলতে দেব না। চীন খুব সহজেই এর সমাধান করতে পারে।
বলা হয়ে থাকে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ট অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক মিত্র চীন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে উত্তর কোরিয়া বিষয়ে সরাসরি আলোচনা হয়। তখন বলা হয়েছিল পিয়ংইয়ংয়ের বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে।
কিন্তু এরপর দুটি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
শনিবারের পরীক্ষার বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়া হয়তো প্রযুক্তিগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এবার যেভাবে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে সেভাবে আগে কখনও পরীক্ষা চালায়নি উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়াকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করছে জাপানও।
নিজেদের ক্ষমতার বিষয়ে উত্তর কোরিয়া যেসব দাবি করছে অনেকে সেগুলো ঠিক নয় বলে মনে করলেও তাদের বিশ্বাস এভাবে চলতে থাকলে হয়তো বছর দশেকের মধ্যে সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলার সক্ষমতা অর্জন করবে উত্তর কোরিয়া।
এনএফ/এমএস