হজ নিয়ে রাজনীতি করছে সৌদি : কাতার
সৌদি আরব হজের রাজনীতিকরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি জোটের অবরোধে সংকটে থাকা উপসাগরীয় দেশ কাতার।
কাতারের দাবি, সৌদির রিয়াদ কর্তৃপক্ষ হজব্রত পালনের উদ্দেশে পবিত্র মক্কা নগরী ভ্রমণের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কাতারের নাগরিকদের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। খবর- আল জাজিরার।
শনিবার কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলেছে, কাতারের নাগরিকরা শুধু দু’টি বিমানবন্দর দিয়ে সৌদিতে প্রবেশ করতে পারছেন। তবে এজন্য তাদের অবশ্যই দোহা হয়ে যেতে হচ্ছে। যারা কাতারের বাইরে বসবাস করেন, হজ করতে চাইলে তাদের প্রথমে কাতারে ফিরতে হবে। পরে সেখান থেকে সরাসরি সৌদি আসতে হবে। ফলে যেসব নাগরিক দেশের বাইরে থাকেন তাদের জন্য এটা দুঃসাধ্য হয়ে উঠবে।
মানবাধিকার কমিশনের দাবি, হজ নিয়ে রাজনীতি করে মূলত সৌদি আরব ও তার সহযোগীরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় করতে চাইছে।
এদিকে, বিশ্বাস ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এমন বিধি-নিষেধ আরোপ করায় জাতিসংঘের বিশ্যেষ দূতের মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সৌদির বিধি-নিষেধ ‘মানুষের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করে এমন আন্তর্জাতিক আইন এবং চুক্তির কঠোর লঙ্ঘন।’
কাতারের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সৌদির এই নিষেধাজ্ঞা মূলত গত ৫ জুন কাতারের ওপর আরোপিত অবরোধের জের। সৌদির নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাইরাইন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও অবরোধ আরোপ করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান এই সংকটের জের ধরে কাতারকে নানাভাবে ‘বশে আনতে’ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সৌদিসহ চার আরব দেশ।
তাদের অভিযোগ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ও সন্ত্রাসীদের কাজে অর্থায়ন ও সহায়তা দিয়ে আসছে কাতার। তবে শুরু থেকেই জোরালোভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হিসেবে স্বীকৃত কাতার। দেশটির ভাষ্য, চলমান সংকট সমাধানে তারা সৌদি জোটের শর্ত মানতে রাজি, তবে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না।
এসআর/এমএস