যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ার ঘোষণা কাতারের
কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মদ আল-আতিয়াহ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্কের সঙ্গে সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দোহা।
রুশ টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া ট্যুডে’কে (আরটি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের সম্পর্ক পুরনো এবং আমরা মিত্র। যেসব দেশ কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে তারা ভুলে গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব টুইট সবসময় অফিশিয়াল নয়।
ওয়াশিংটন কাতারে মার্কিন বিমান ঘাটি আল উদেইদ এয়ার বেসের বিকল্প খুঁজবে না। ২০১৪ সাল থেকে দোহা-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য অস্ত্র বাণিজ্য হয়েছে এবং সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে পুনরায় অনুমোদন পেয়েছে।
আল-আতিয়াহ ব্যাখ্যা করে বলেন, কাতারের ওপর আরোপিত চার দেশের অবরোধে তার দেশ বিস্মিত; কারণ কাতারে ওই দেশগুলোর নাগরিকরা রয়েছেন।
অবরোধের ব্যাপারে তিনি বলেন, রিয়াদ সামিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উষ্ণ অভ্যর্থনার পর এই অবরোধ আরোপ পেছন থেকে ছুরিকাঘাতের মতো।
কাতারে মার্কিন ঘাটি ও তুরস্কের সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কোনো ধরনের বৈরিতা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। শিগগিরই কাতার-যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক সেনাবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
গত ৫ জুন সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থায় সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন। তবে কাতার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পরে সংকট সমাধানে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বেঁধে দেয়া ১২ শর্তও প্রত্যখ্যান করেছে কাতার।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দাল্লাহ আল-মুয়াল্লিমি বলেন, গত ৫ জুলাই কায়রোতে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কাতার সংকট সমাধানে নতুন ছয়টি নীতিমালার ব্যাপারে একমত হয়েছে ওই চার দেশ। আশা করছি কাতার এসব বাস্তবায়নে সমর্থন দেবে।
নতুন ছয় নীতিমালার মধ্যে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন ও তাদের নিরাপদ আশ্রয় বন্ধের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সহিংসতা ও বিদ্বেষ ছড়াতে এমন উস্কানিমূলক সব ধরনের কার্যক্রম ও বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়া থেকে বিরত থাকার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কাতার এসব শর্ত উড়িয়ে দিয়েছে।
এসআইএস/পিআর