গরু চোরাচালান ঠেকাতে বিএসএফকে বিজিবির অনুরোধ
ভারত থেকে গবাদি পশুর চোরাচালান বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছে। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে সীমান্তে গবাদিপশুর চোরাচালান ঠেকাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফ’কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার ভারতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলনে ওই অনুরোধ জানান বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহিদ হাসান।
ভারতীয় সরকারি সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, আসলে এটা (গবাদি পশুর চোরাচালান) আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি করছে। গবাদিপশু যদি ভারত থেকে না আসতে পারে তাহলে আমাদের কৃষকরা স্বাবলম্বী হবেন এবং আমরা নিজেদের দেখাশোনা করতে পারবো।
তিনি বলেন, চোরাচালান ঠেকানোর জন্য আমরা বিএসএফকে অনুরোধ জানিয়েছি। এর মাধ্যমে আরো অন্যান্য অনেক বিষয়ের সমাধান হতে পারে।
ভারতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিজিবি শীর্ষ এই কর্মকর্তা। এই সম্মেলনের আলোচ্যসূচির অন্যতম হচ্ছে গরু চোরাচালান ইস্যু।
গবাদিপশু নিজে সীমান্ত পার হতে পারে না উল্লেখ করে জাহিদ হাসান বলেন, এ ধরনের চোরাচালান বন্ধে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। কারণ, এসব গবাদিপশু আসে ভারতের অনেক ভেতর থেকে এবং ভারতের পশ্চিম থেকে। বিজিবির আঞ্চলিক এই কমান্ডার বিএসএফের মেঘালয় ইউনিটের আইজি পি কে দুবে ও রাজ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক এস বি সিংহ’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি গবাদিপশু চোরাচালান ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশিদের ওপর সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানোর বিষয়টিও তুলে ধরেন বিজিবির ওই কর্মকর্তা। আমাদের উদ্বেগের কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কিছু ঘটনা পরিষ্কারভাবে আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি। আশা করছি সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা শূন্যতে নামিতে আনতে সক্ষম হবো।
বিজিবি-বিএসএফ’র এই সম্মেলনে বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসআইএস/আরআইপি