ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রুশ আইনজীবির সঙ্গে ছেলের সাক্ষাতের বিষয়ে জানতেন না ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:২৮ এএম, ১২ জুলাই ২০১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে জুনিয়র ট্রাম্প হিলারি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে রুশ আইনজীবির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, জুনিয়র ট্রাম্পের ওই সাক্ষাতের বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। ওই রুশ আইনজীবি তার নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা করতে চেয়েছিল এ বিষয়েও তিনি তেমন কিছুই জানেন না। খবর বিবিসির। 

জুনিয়র ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, রুশ আইনজীবির সঙ্গে ওই বৈঠক তেমন কিছুই ছিল না। তিনি এটা ভিন্নভাবে পরিচালনা করতে পারতেন। জুনিয়র ট্রাম্প সম্প্রতি একটি ইমেইল প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন ওই রুশ আইনজীবি তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় রুশ সরকারের সহায়তার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। 

ক্রেমলিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি হিলারি সম্পর্কে তথ্য দিতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই রুশ আইনজীবি নাতালিয়া ভেসেলনিসকায়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন জুনিয়র ট্রাম্প। তবে হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে কার্যকর কোনো তথ্য তাদের মধ্যে আদান প্রদান হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার ওই আইনজীবীর সঙ্গে ট্রাম্পের জামাতা জেয়ার্ড কুশনার এবং তারপর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা প্রধান পল জেও ম্যানাফোর্টও সাক্ষাৎ করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এফবিআই এবং কংগ্রেসও ট্রাম্প এবং তার নির্বাচনী প্রচারণা দলের কেউ রাশিয়াকে সহায়তা করেছে কিনা সে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।

গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অভিযোগ উঠেছিল হিলারিকে হারিয়ে ট্রাম্পকে জয়ী করতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল রাশিয়া। তবে ট্রাম্প এবং রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। 

জুনিয়র ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, তিনি রুশ আইনজীবির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি তার বাবাকে জানিয়েছেন কিনা। এ বিষয়ে জুনিয়র ট্রাম্প বলেন, ‘এটা তেমন কিছুই ছিল না। এটা বলার মতো কিছু না। আমারতো এ বিষয়ে তেমন কিছু মনেও ছিল না। সেই ২০ মিনিট আসলে সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। এটা একটা লজ্জাজনক ব্যাপার।’

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন