বঙ্গোপসাগরে যুদ্ধযান নিয়ে বিশাল মহড়া ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের
চীনের গভীর উদ্বেগের মাঝেই বঙ্গোপসাগরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের নৌবাহিনী সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনব্যাপি এ মহড়ায় বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন পাঠিয়েছে দেশগুলো।
তিন দেশের নৌবাহিনীর এই মালাবার মহড়া ১৯৯২ সাল থেকে চলে আসছে। ভারতীয নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান এইচসিবি বিসতে সোমবার ওই মহড়ার উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, সাধারণ ও অংশীদারিত্বমূলক হুমকি মোকাবেলাই এই যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য।
১৯৯২ সাল থেকে প্রত্যেক বছর এই মহড়া প্রথমে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়। ২০১৪ সাল থেকে মহড়ায় যোগ দেয় জাপান। বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের কাছে ভারত মহাসাগরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মহড়া।
মালাবার মহড়ায় ১২টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ ও বিমান অংশ নিয়েছে। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে সম্ভাব্য টহলদারিসহ যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্যে তিন দেশের নৌবাহিনী এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
এদিকে মহড়া শুরুর আগে চীন সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, তৃতীয় কোনো দেশ এ মহড়ার লক্ষ্য নয় বলেই বিশ্বাস করেন তারা। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেছেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্বাভাবিক সম্পর্ক ও সহযোগিতায় আপত্তি নেই বেইজিংয়ের।
তিন দেশের যৌথ এ মহড়ায় ভারতের একমাত্র এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রমাদিত্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতের এই যুদ্ধযানের ওজন প্রায় ৪৪ হাজার ৫৭০ টন। এছাড়া জাপানের ২৭ হাজার টন ওজনের হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখ টন ওজনের এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ইউএসএস নিমিৎজ।
আইএনএস বিক্রমাদিত্য ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েন করেছে ভারত। যৌথ এ মহড়ায় ভারতের তৈরি দুটি শিবালিক ফ্রিজেট, রাশিয়ার তৈরি দুটি রণবীর ডেস্ট্রয়ার, নৌবাহিনীর অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার করভেট, কোরা ক্লাস মাল্টি রোল করভেট, রাশিয়ায় তৈরি কিলো ক্লাস সাবমেরিনও আছে।
এসআইএস/পিআর