‘এক দেশ এক কর’ বৃত্তে ভারত
মধ্যরাতে সূচনা হলো পণ্য ও পরিষেবা কর। আর সেই উপলক্ষে মোদি সরকার সংসদের সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাণক্য, লোকমান্কেয তিলককে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এক দেশ, এক কর’ দেশকে ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শন করবে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় জানান, জিএসটি চালু হওয়ায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তৃপ্তি লাভ করেছেন। কারণ ১৪ বছরের এই প্রচেষ্টায় তিনি নিজেও জড়িত ছিলেন। ১৬ দফা বৈঠক হয়েছে এ নিয়ে।
কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল তারা অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তাতেও থেমে থাকেনি জিএসটি উদযাপন। সংসদের ঐতিহাসিক সেন্ট্রাল হলে এ উপলক্ষে বিশাল আয়োজন করা হয়। রাত ১১টা বাজতেই শুরু হয় অনুষ্ঠান। শুরুতেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘আমরা সবাই এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার জন্য একত্রিত হয়েছি।
ভারতের বৃহত্তম কর সংস্কার ব্যবস্থা জিএসটি চালু হলো। নতুন ভারত তৈরি করবে এক কর, এক বাজার এবং এক দেশ। ভারত এক নতুন ইতিহাস রচনা করতে চলেছে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠেও দেশের স্বার্থে এগিয়ে আসার উদাহরণ হলো জিএসটি। রাজ্য ও লোকসভার সর্বসম্মতিতে জিএসটি পাস হয়েছে। জিএসটির পাঠ প্রথম শিখিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।’
অরুণ জেটলির পরে বক্তব্য দেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি জিএসটির নতুন সংজ্ঞা দিয়ে বলেন, ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স নয়, আসলে গুড অ্যান্ড সিম্পল ট্যাক্স জিএসটি। দীর্ঘ সময়ের ফসল এই জিএসটি। রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ প্রয়াসেই জিএসটি সম্ভব হয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের প্রমাণ এই জিএসটি।’
মোদি জানান, এই জিএসটির ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর গরিবরাই সবচেয়ে লাভবান হবেন। নানা করের অব্যবস্থা থেকে মুক্তি দেবে এই জিএসটি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারওর অপপ্রচারে কান দেবেন না। জিএসটির মাধ্যমে কালো টাকার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা হবে। তবে কর ব্যবস্থায় আর কোনও ধোঁয়াশা থাকবে না। বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলি জিএসটির জেরে লাভবান হবে।’ পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘১৪ বছরের প্রয়াস আজ বাস্তব রূপ পেল এই জিএসটি কার্যকরে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুশি।’
শুক্রবার ১২ টা বাজতেই অ্যাপের মাধ্যমে জিএসটি চালু করেন প্রধানমন্ত্রী। দেখানো হয় জিএসটির ওপর বিশেষ তথ্যচিত্র। উপস্থিত ছিলেন প্রায় কয়েক হাজার অতিথি। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, লোকসভা স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, লালকৃষ্ণ আদবানি, শরদ পাওয়ার প্রমুখ।
এমআরএম