দাবি না মানলে পথ আলাদা হবে কাতারের
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার যদি আল জাজিরা টিভি বন্ধ না করে এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর দাবি মেনে না নেয় তবে তাদের পথ আলাদা হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ। খবর বিবিসির।
সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরত এবং বাহরাইন এই চার দেশ কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে মোট ১৩টি দাবি জানিয়েছে।
এর মধ্যে আছে আল জাজিরা টিভি বন্ধ করা, মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমানো এবং সেদেশে তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা।
তবে গারগাশ বলেন, কাতার ১০ দিনের আলটিমেটাম না মানলে তারা সংঘাতের পথে যাবেন তা নয়। এই ১৩টি দাবির পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় কাতার সরকার বলেছে, এগুলোর কোনটাই যুক্তিসংগত বা বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
কাতার বলেছে, এসব দাবির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার কোনো সম্পর্ক নেই বরং এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে তাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা।
অন্যদিকে আল জাজিরা টিভির মুখপাত্র জামাল আল শায়াল বলেছেন, তাদের আদর্শের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।
যেসব দেশে মানবাধিকার বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ তারাই আল জাজিরার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেবার অভিযোগ করছে। এটাই বুঝিয়ে দেয় কেন আল জাজিরাকে তারা সমস্যা বলে মনে করে।
সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেবার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যেসব দেশ উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর সৃষ্টি অথবা তাদের অর্থ সহায়তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের দিক থেকে এ ধরনের অভিযোগ উদ্ভট।
তিনি আরো বলেন, ‘আল জাজিরা যদি আল কায়েদা, হামাস বা মুসলিম ব্রাদারহুডের কণ্ঠস্বর হতো তাহলে আমরা টিভি চ্যানেল হিসেবে এতো পুরস্কার পেতাম না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রেখে তাদের কর্মীরা কাজ করে যাবেন এবং ক্ষমতাবানদের সত্যের মুখোমুখি করার কাজ অব্যাহত থাকবেন। জ্ঞান ও তথ্য জানার অধিকার সবারই থাকতে হবে। এটাই আল-জাজিরার আদর্শ।
টিটিএন/জেআইএম