ট্রাম্প বিকারগ্রস্ত : উত্তর কোরিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘বিকারগ্রস্ত’ বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ার একটি সংবাদপত্র। পিয়ংইয়ং-এর সরকারি সংবাদপত্র রোডং সিনমানের সম্পাদকীয়তে বৃহস্পতিবার এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।
ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়াও এতোদিনে বুঝে গেছে বিকারগ্রস্ত ট্রাম্পের নেতৃত্বে কোথায় যাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন বৃহস্পতিবার সকালে সিবিএস টেলিভশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরাও এতোদিনে জেনে গেছি উত্তর কোরিয়া কীভাবে যুক্তিহীনভাবে দেশ চালাচ্ছে।
১৫ মাসের বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়াতে বন্দি থাকার পর দেশে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যে এক মার্কিন ছাত্রের মৃত্যুর হয়। ওই ঘটনার পর দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে এ ধরনের মন্তব্য করল পত্রিকাটি।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে ভ্রমণ বরাবরই মার্কিন নাগরিকদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র।
মাত্র দু’দিন আগে উত্তর কোরিয়াকে ‘নিষ্ঠুর রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ওয়ার্মবিয়ারের সঙ্গে অনেক বাজে কিছু ঘটেছে। তবে আমরা অন্তত সেখান থেকে তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে নিয়ে আসতে পেরেছি। ছেলেকে দেখে তার বাবা-মা অনেক খুশি হয়েছিল। যদিও সেসময় তার অবস্থা ভালো ছিল না। ওয়ার্মবিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি।
ওত্তো ওয়ার্মবিয়ার (২২) নামের মার্কিন ওই শিক্ষার্থীকে উত্তর কোরিয়ার একটি হোটেল থেকে প্রজ্ঞাপন চুরির অভিযোগে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। গত সম্পাহে তাকে পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
উত্তর কোরিয়ায় আটক থাকার সময় প্রায় এক বছর তিনি কোমায় ছিলেন। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা ওই শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বচিউলিজম নামের এক অসুখে তার এ অবস্থা হয়েছে। কিন্তু তিনি ওই রোগে কীভাবে আক্রান্ত হলেন সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
মার্কিন ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আবারও দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে একশ দিন পূর্ণ করার পর দেশটির সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান `ফেস দা ন্যাশন`- এ এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-কে অনেক বুদ্ধিমান নেতা বলে উল্লেখ করেছিলেন।
ট্রাম্প সেসময় বলেছিলেন, কিমের বাবা মারা যাবার পর ২৬ কিংবা ২৭ বছর বয়সে তিনি ক্ষমতায় আসেন। এত কম বয়সে একজন ক্ষমতায় এসেছেন, সেটা (ক্ষমতা) নিশ্চয়ই অনেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তিনি সেটা ধরে রেখেছেন, অবশ্যই কিম বুদ্ধিমান ব্যক্তি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর ট্রাম্পের মন্তব্য হলো, কিম খুব খারাপ কাজ করেছেন। খুব খারাপ।
সূত্র : এএফপি
কেএ/পিআর