নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরতে দিচ্ছে না কাতার
সৌদি আরবে আটকা কাতারি নাগরিকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি দোহা। পরিবার নিয়ে কাতারি নাগরিকরা কয়েকদিন ধরে সৌদি অারবের আবু সামরা সীমান্তে আটকা পড়েছেন। কাতারের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন আরব ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এএফএইচআর)।
সৌদি ত্যাগে কাতারি নাগরিকদের জন্য রিয়াদের বেঁধে দেয়া ১৪ দিনের সময়সীমা পার হওয়ায় অনেক কাতারি পরিবার আবু সামরা সীমান্তে আটকা পড়েছেন। নিজেদের দেশ কাতারে যাওয়ার চেষ্টা করলেও কয়েকদিন ধরে কাতারের সীমান্তে আটকে দেয়া হচ্ছে তাদের।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াম মানবাধিকার সংস্থা এএফএইচআর’র বরাত দিয়ে বলছে, কাতার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে এ ব্যাপারে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। আটকা পড়া পরিবারগুলোর ব্যাপারে বিবেচনা করে কাতারকে সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগেরও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
এএফএইচআর বলছে, আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির মতো করেই কাতারি নাগরিকদের মানবাধিকারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সম্মান দেখানো উচিত। বিশেষ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির ১২ ও ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদের ব্যাপারে কাতারের দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য। পরিবার, নারী ও শিশু অধিকারের ব্যাপারেও দোহাকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।
আবু সারমা সীমান্তে এখন কাতারের কয়েক ডজন পরিবার অপেক্ষা করছে। পরিবারগুলো জানে না আদৌ তারা কাতারে প্রবেশ করতে পারবে কিনা।
আল মাররা উপজাতির আল গাফরান এলাকার বেশ কয়েকজনের কাছে কাতারের পাসপোর্ট অাছে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চল এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে তাদের বসবাস। কিন্তু বর্তমানে তাদের কাতারে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
এএফএইচআর বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে টুইটারে তারা বেশ কিছু প্রশ্ন এবং আকুতি জানিয়েছে। আটকা পড়া পরিবারে বয়স্ক লোক এবং শিশু রয়েছে। অথচ তাদের কাছে কোনো রকম খাবার নেই।
সংস্থাটি বলছে, কাতারি নাগরিকদের অধিকার নির্দয়ভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। নিজেদের নাগরিকদের দেশে প্রবেশের অধিকার, নাগরিকত্বের অধিকার দিতে হবে। এছাড়া অন্য দেশে ভ্রমণ কিংবা কোথাও যেকোনো সময় যাওয়া আসার ব্যাপারেও স্বাধীনতা রাখতে হবে।
সূত্র : অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
কেএ/এসআইএস/এমএস