‘উত্তর কোরিয়া নিষ্ঠুর রাষ্ট্র’
উত্তর কোরিয়াকে নিষ্ঠুর রাষ্ট্র হিসেবে অাখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়াতে বন্দি থাকার পর দেশে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই এক মার্কিন ছাত্রের মৃত্যুর পর এ ধরনের মন্তব্য করেন তিনি। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প বলেন, ওয়ার্মবিয়ারের সঙ্গে অনেক বাজে কিছু ঘটেছে। তবে আমরা অন্তত সেখান থেকে তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে নিয়ে অসতে পেরেছি। ছেলেকে দেখে তার বাবা-মা অনেক খুশি হয়েছিল। যদিও সেসময় তার অবস্থা ভাল ছিল না, তারপরেও। এ ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি।
ওত্তো ওয়ার্মবিয়ার (২২) নামের মার্কিন শিক্ষার্থীকে উত্তর কোরিয়ার একটি হোটেল থেকে প্রজ্ঞাপন চুরির অভিযোগে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার তাকে পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
উত্তর কোরিয়ায় আটক থাকার সময় প্রায় এক বছর তিনি কোমায় ছিলেন। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, তারা মানবিক দিক বিবেচনা করে ওই শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে।
ওয়ার্মবিয়ারের মা-বাবা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তাদের সন্তান মারা গেছেন।
নিহতের পরিবারের দাবি, আটক অবস্থায় অমানুষিক নির্যাতন এবং ভুল চিকিৎসার কারণে তাদের সন্তানের ওই অবস্থা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া থেকে ফিরিয়ে আনার সময়ও ওয়ার্মবিয়ারের কোনো রকম জ্ঞান ছিল না, চোখে দেখতে পারছিলেন না এবং কোনো রকম ইশারা ইঙ্গিতেও পারছিলেন না।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অস্বাভাবিকভাবে এদিক সেদিক ঘুরে তাকাচ্ছিল সে। এসময় তাকে খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বলে মনে হয়েছে। আমরা তার মুখে আর একটি শব্দও শুনতে পাইনি। তার চেহারা একেবারে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আগে সে অনেক শান্ত ছিল। সে যেহেতু বাড়িতে ফিরে এসেছে, আমরা ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু সিনসিনাটির একটি হাসপাতালে নেয়া হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান তিনি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়াতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মারা গেছেন।
বন্ধুদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ায় অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন তিনি। গত এক বছর তিনি যে কোমায় ছিলেন সে বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখা হয়েছিলো।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বচিউলিজম নামের এক অসুখে তার এই অবস্থা হয়েছে। কিন্তু তিনি এই রোগে কিভাবে আক্রান্ত হলেন সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে দেশে ফেরার পর চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তাকে পরীক্ষার পর মস্তিষ্কে আঘাতের কথা উল্লেখ করেন।
কেএ/টিটিএন/এমএস