যুক্তরাষ্ট্রে বছরে গুলিতে মৃত্যু ১ হাজার ৩শ শিশুর
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর গুলিতে প্রায় ১ হাজার ৩শ শিশুর মৃত্যু হয়। সরকারি এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর পাঁচ হাজার আটশত শিশু বন্দুকের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। খবর বিবিসির।
গবেষণায় বলা হয়েছে, গুলিতে যেসব শিশু নিহত হচ্ছে তাদের মধ্যে মাত্র ছয় শতাংশ দুর্ঘটনাবশত। বাকিগুলো হত্যাকাণ্ড কিংবা আত্মহত্যার মতো ঘটনা। মূলত এক বছর থেকে সতের বছর বয়সী শিশুরা এ ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
গবেষক ক্যাথরিন ফোলার জানিয়েছেন, ‘প্রতিবছর গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রতিদিন ১৯জন শিশু গুলিতে মারা যাচ্ছে অথবা গুরুতর আহত হচ্ছে।
গবেষকরা বলছেন, আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এর আগে ব্যাপক মাত্রায় গবেষণা হয়নি। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে।
পরিবার, ছেলে বন্ধু কিংবা মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জটিলতায় পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অনেকেই। এক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের আত্মহত্যার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং লুইজিয়ানায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
গবেষকরা বলেছেন, পৃথিবীর অন্য উন্নত দেশগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম।
দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করতে বেশ কয়েকবার সরব হয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু তার সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। শিশুমৃত্যু ছাড়াও বিভিন্ন সময় দেশটিতে বন্দুকধারীদের অতর্কিত হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম