কাতারে আরও খাবার পাঠাবে ইরান
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া কাতারকে পাঁচটি বিমান বোঝাই করে বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে উপসাগরীয় দেশ ইরান। প্রতিদিন একশ টন ফল এবং সবজি জাতীয় পণ্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি।
ইরান এয়ারের এক মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘ফলমূল ও খাবার নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের মোট পাঁচটি বিমানে কাতারে পৌঁছেছে। শিগগিরি আরও একটি বিমান রসদপত্র নিয়ে রওনা দেবে।’
ইরানের তরফ থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ হিসেবে পাঠানো হয়েছে নাকি এটা কোনও বাণিজ্যিক লেনদেনের অংশ তা এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে, ৩৫০ টন খাবার নিয়ে তিনটি জাহাজ নৌপথে শিগগিরি কাতারের উদ্দেশে রওনা দেবে।
ইরানের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ সৌদি আরবসহ ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ গত সপ্তাহেই কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে।
সৌদি আরবসহ ওই দেশগুলোর অভিযোগ কাতার জঙ্গিবাদে মদদ দিচ্ছে ও অর্থায়ন করছে। তবে বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার।
সৌদি আরব থেকেই এতদিন কাতারের মোট খাদ্যসামগ্রীর ৪০ শতাংশ আমদানি করা হত। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কাতারের সঙ্গে সব স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি।
এর আগে কাতারি বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশগুলোর এমন ঘোষণার পর কাতার এয়ারওয়েজের বিমানগুলোর জন্য ইরান নিজেদের আকাশসীমাও উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য শিয়া নেতৃত্বাধীন ইরান ও সুন্নি নেতৃত্বাধীন সৌদির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তাই ওই পটভূমিতে ইরানের সঙ্গে কাতারের ঘনিষ্ঠতাই বর্তমান সংঘাতের একটা বড় কারণ।
ফলে এখন কাতারে ইরানের এই খাদ্যসামগ্রী পাঠানো সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে চাইছে কুয়েত। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি গেছেন কুয়েতের আমির।
টিটিএন/পিআর