১১৬ যাত্রীবাহী মিয়ানমারের বিমানটি আন্দামান সাগরে বিধ্বস্ত
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ১১৬ আরোহীবাহী বিমানটির ধ্বংসাবশেষ আন্দামান সাগরে পাওয়া গেছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা ও দেশটির বিমানবাহিনীর একটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের মিয়েক শহর থেকে রাজধানী ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পর পরই বিমানটি নিখোঁজ হয়। মিয়েক শহরের পর্যটন কর্মকর্তা নাইং লিন জ্য বলেন, দাওয়েই শহর থেকে ১৩০ মাইল (২১৮ কিলোমিটার) দূরে সাগরে তারা বিমানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির বিমানবাহিনীর একটি সূত্র নিশ্চিত করে বলছে, নৌ-বাহিনীর তল্লাশি ও উদ্ধারকারী জাহাজ বিমানের ধ্বংসাবশেষের টুকরা পেয়েছে। বিমানের কোনো আরোহীই বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করছেন মিয়ানমারের কর্মকর্তারা।
মিয়ানমার সেনাপ্রধানের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের সময় সেনাবাহিনীর ওই বিমান দাওয়েই শহরের ২০ মাইল পশ্চিমের আকাশে ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্দামান সাগরের ওপর দিয়ে উড়তে থাকা বিমানটি নিখোঁজের পরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। সাগরে জাহাজ মোতায়েনের পাশাপাশি বিমান থেকেও বিমানের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে।
ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরের একটি সূত্র বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটিতে ১০৫ যাত্রী ও ১১ ক্রু ছিলেন। বিমানটির অধিকাংশ যাত্রীই দেশটির উপকূলবর্তী অঞ্চলের সেনা পরিবারের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। বার্তাসংস্থা এএফপিকে ওই সূত্র জানিয়েছে, আমাদের ধারণা যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল।
নিখোঁজ বিমানের খোঁজে নৌ-বাহিনীর চারটি জাহাজ ও বিমানবাহিনীর দুটি বিমানকে পাঠানো হয়েছে।
এসআইএস/আরআইপি