ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কাতার ইস্যুতে সৌদি বাদশাহকে ট্রাম্পের ফোন

প্রকাশিত: ০৭:৫৭ এএম, ০৭ জুন ২০১৭

কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যসহ সাতটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। এর জের ধরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

ফোনে আলাপকালে অারব বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। এর অাগে সৌদি সফরে জঙ্গিবাদ সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলোকে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান করেছিলেন তিনি। এতে করে সন্ত্রাসভীতি দূর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সৌদি বাদশা সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্প বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর ঐক্য জরুরি। মার্কিন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জঙ্গিবাদী মতাদর্শ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়ন বন্ধ করতে লড়াইয়ের জন্য আরব বিশ্বকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।

একের পর এক দেশ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়টিকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দাবি করেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম, এটাকে কোনোভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। বিশ্ব নেতারা কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।

এরপর আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ বলছে, তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। তা দেখে খুব ভাল লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা।

অন্যদিকে কাতারকে আবার ধন্যবাদ জানিয়েছে পেন্টাগন। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কিন সেনা এই দেশটিতেই আছে। সেখানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা আছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাতারের মার্কিন ঘাঁটি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তাদের অভিযোগ, মুসলিম ব্রাদারহুড, ইসলামিক স্টেট (আইএস), অাল কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে কাতার।

কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এসব দেশের নাগরিকদের কাতার সফর, সেখানে বসবাস করা বা কাতার হয়ে অন্য কোনো দেশে যাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অাকাশসীমা ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে প্রতিবেশি দেশগুলো কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে বাইরের দেশগুলো থেকে কাতারে পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশটি।

তবে ইসলামি জঙ্গিদের সমর্থনের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার। বরং সাতটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়টি অযৌক্তিক পদক্ষেপ হিসেবে দাবি করছে দেশটি।

কাতারের সঙ্গে মালদ্বীপসহ মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী সাত দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর যে কূটনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে; তা নিরসনে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছে কুয়েত।

সোমবার রাতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ও কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর মধ্যে টেলিফোনে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। কাতারকে এরকম সংকটের মধ্যে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। সমুদ্রপথে কাতারে খাবার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।

কেএ/টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন