ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

তুরস্ক-ইরানের দিকে ঝুঁকছে কাতার

প্রকাশিত: ০৯:২৮ এএম, ০৬ জুন ২০১৭

কাতারের সঙ্গে অারব বিশ্বের সাতটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা থেকে তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে।

সোমবার সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইনসহ সাতটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। মুসলিম ব্রাদারহুডসহ ইরানকে সমর্থন করার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে দেশগুলো সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার। বরং অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়টিকে অন্যায় পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটি।

রয়টার্সের তথ্যমতে, উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে কাতারে ৮০ শতাংশ খাবার আমদানি করা হয়ে থাকে। কাতারকে অাকাশসীমা ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে প্রতিবেশি দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার পর বাইরের দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশটি। তবে কাতারের দুর্দিনে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সমুদ্রপথে কাতারে খাবার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইরান।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আরব অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক আমিন সাকিল বলেন, অারব বিশ্বের এরকম সিদ্ধান্তে কাতারের সঙ্গে ইরান ও তুরস্কের সম্পর্ক আরও গাঢ় হতে পারে। তারা ইতোমধ্যেই অন্যান্য দেশের কাতারকে বর্জনের কারণে যে ক্ষতি হবে তা থেকে উদ্ধারের জন্য সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। এতে তারা অত্যন্ত খুশি।

আরেক বিশ্লেষক বলছেন, ইরান এবং তুরস্কের ব্যাপারে পররাষ্ট্র নীতি পরিবর্তনের জন্য কাতারের প্রতি চাপ সৃষ্টির অংশ হিসেবেই আরব বিশ্বের দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে কাতার উপসাগরীয় নিরাপত্তা পরিষদ ত্যাগ করতে পারে।

আরববিশ্বের দেশগুলো চায় না কাতার ইরানের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখুক। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক মাসে দেখা গেছে, সৌদির বিপরীতে গিয়ে ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক আরও গাঢ় হচ্ছে। এতে করে কাতারকে প্রায় একঘরে করে দেয়ার চেষ্টা করছে আরববিশ্বের দেশগুলো।

অথচ, কাতার এবং ইরান বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাস ফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তুরস্ক, ইরান ও কাতার যদি গ্যাস নিয়ে ভিন্ন চিন্তা করে তাহলে অনেকটাই চাপে পড়ে যাবে অারব বিশ্বের দেশগুলো।

তবে তুরস্ক ও সৌদি আরব মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে একমত পোষণ করে। উপসাগরীয় অঞ্চলের এরকম সংকটে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করবে ইরান।

সৌদি সফরেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদিকে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের কথা বলেছিলেন। ইরান সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করছে উল্লেখ করে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শেষ পর্যন্ত কী ঘটে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

কেএ/টিটিএন/জেআইএম

আরও পড়ুন