সাত প্রাণ নিয়ে ‘মোরা’ এখন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতের আশঙ্কায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১০টি প্রদেশে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝঢ় মোরার প্রভাবে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রদেশে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ঝড়ছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মনিপুর, মিজোরাম, আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশে, নাগাল্যান্ড ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ভারি বর্ষণের সঙ্গে দমকা হাওয়া আঘাত হানতে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে সর্বোচ্চ ১১৭ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোরা। ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে ও গাছ চাপা পড়ে কক্সবাজার ও রাঙামাটি জেলায় ৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে পাঁচজন ও রাঙামাটিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ রাত ৯টা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে পরবর্তীতে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০ রাজ্যের সরকার ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাব ও পরিস্থিতি ঘণিষ্ঠভাবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে জেলা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বহমান মৌসুমী বায়ুর বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোরা।
এসআইএস/আরআইপি