ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

হামলার আগে নীল স্যুটকেস হাতে ঘুরেছেন আবেদি

প্রকাশিত: ০৬:৩৭ এএম, ৩০ মে ২০১৭

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘণ্টাখানেক আগে শহরের রাস্তায় নীল রংয়ের স্যুটকেস নিয়ে হাঁটছিলেন হামলাকারী সালমান আবেদি। সোমবার সালমানের দুটি ছবি প্রকাশ করে গত ২২ মে কনসার্টে আত্মঘাতী বোমা হামলার তদন্তে সহায়তার জন্য জনগণের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ম্যানচেস্টার পুলিশ। খবর সিএনএন।

মার্কিন পপ সংগীত শিল্পী অ্যারিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে সালমান আবেদী আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে তিনিসহ ২২ জন প্রাণ হারায় এবং আহত হয় আরও ১১৬ জন।

গোয়েন্দা প্রধান রাশ জ্যাকসন এক বিবৃতির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন, ১৮ থেকে ২২ মের মধ্যে নীল স্যুটকেসসহ অাবেদিকে কেউ দেখেছেন কি না। এই সময়ের মধ্যে তাকে কোথায় দেখা গেছে, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

কোনো সিসিটিভি ফুটেজে আবেদিকে দেখা গেলে ম্যানচেষ্টার পুলিশের এন্টি টেররিজম টিমকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বরও দেয়া হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে, ফুটেজগুলো যেন তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় আর বিপজ্জনক কিছু আমরা দেখছি না। তবে মানুষজনকে সচেতন হতে হবে।

পুলিশের ধারণা, ম্যানচেষ্টারে হামলার জন্য অন্তত দুটি স্যুটকেস ছিল। তার মধ্যে একটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সালমান আবেদি।

১৮ থেকে ২২ মে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেস্টের (আইএস) কাছে আগেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন হামলাকারী সালমান আবেদি। হামলার কয়েকদিন আগে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ইস্তাম্বুল হয়ে ডুসেলড্রফ বিমানবন্দর দিয়ে সালমান ম্যানচেস্টারে আসেন।

হামলার সপ্তাহখানেক পর প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজের ওই ছবিতে সালমানকে হামলার রাতে মাথায় টুপি, চশমা, গাঢ় রঙের জ্যাকেট ও নীল রঙের স্যুটকেস নিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। 

ইতোমধ্যে সালমানের ভাই হাসিম রমজান আবু কাসেম আল আবেদি ও বাবা রমজানকে লিবিয়ার মিলিশিয়ারা আটক করেছেন। তার বড় ভাই ইসমাইলকে আটক করা হয়েছে দক্ষিণ ম্যানচেস্টারের সোরলোটন থেকে। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, সালমানের পরিবারের অন্য সদস্যরাও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (অাইএস) ইতোমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ১৬ জনকে আটক করেছে ম্যানচেষ্টারের পুলিশ।

কেএ/টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন