আবেদীর হামলার রাতের ছবি পুলিশের হাতে
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের একটি কনসার্ট শেষে হামলার ঘটনায় ২২ জন নিহত এবং আরো ৫৯ জন আহত হয়েছে। শনিবারের ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ২২ বছর বয়সী সালমান আবেদীর ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। হামলার ঠিক আগের মুহূর্তে আবেদীর চোখে চশমা, মাথায় টুপি এবং গায়ে জ্যাকেট ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা গেছে। গত শনিবার ব্রিটেনের ম্যানচেস্টারের এরিয়ানা স্টেডিয়ামে মার্কিন পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের অনুষ্ঠান শেষে আত্মঘাতী হামলা চালায় সালমান আবেদী।
হামলার রাতে সালমানের গতিবিধি জানতে এরিয়ানা স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছিল ম্যানচেস্টার পুলিশ। ফুটেজ দেখেই তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সেই ছবিতে, চোখে চশমা, মাথায় কালো টুপি, পরনে জিনস, কালো জ্যাকেট এবং পিঠে ব্যাগ নিয়ে আর পাঁচজনের মতোই স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেখা গেছে তাকে।
স্টেডিয়ামে প্রবেশের আগে আবেদী সিটি সেন্টারের একটি ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিটি সেন্টারের ওই ফ্ল্যাটটিতেই সম্ভবত বিস্ফোরক রাখা ছিল। কারণ অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে সেখানে ঢুকতে দেখা গেছে সালমানকে। ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে সোজা স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা দেয় সে। তখন তার পিঠে ব্যাগ এবং পরনে মোটা জ্যাকেট ছিল। এর মধ্যেই বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামলা চালাতে ১৮ মে ম্যানচেস্টারে পা রাখে সালমান। উত্তর আফ্রিকার একটি দেশ থেকে সে ব্রিটেনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে তার এক আত্মীয়। ইস্তাম্বুল এবং ডাসেলডর্ফ বিমানবন্দর হয়ে সে ব্রিটেনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে তুরস্ক এবং জার্মান কর্মকর্তারা।
কিন্তু হামলার চারদিন আগে ম্যানচেস্টারে পৌঁছে সে কী করেছিল তার হদিশ মেলেনি। তার সম্পর্কে কারো কিছু জানা থাকলে অবিলম্বে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, গত পাঁচ দিনে তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। সালমান আবেদী এবং তার সহযোগীদের সম্পর্কে অনেক তথ্য মিলেছে। হামলা চালাতে কোথা থেকে টাকা এসেছিল, সে কোন কোন জায়গায় গিয়েছিল সে সম্পর্কে ও অনেক কিছু জানা গেছে।
শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরি করে বড় ধরনের হামলার ছক ছিল সালমানের। এ ব্যাপারে সন্দেহজনক কিছু দেখে থাকলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সোমবারের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।
১৪টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। সালমানের বাবা এবং ভাইকে লিবিয়ায় আটক করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। তাদের সাহায্য করছেন ব্রিটিশ সন্ত্রাসদমন বাহিনীর প্রায় ১ হাজার জনের একটি দল।
টিটিএন/এমএস