রং নম্বরে প্রেমে নতুন জীবন অ্যাসিড দগ্ধের
প্রেম করেনি এমন কারও ব্যাপারে আমাদের অনুভূতি হয়ে থাকে সহানুভূতি থেকে শুরু করে তাচ্ছিল্য পর্যন্ত। তবে অনেকের জন্যই প্রেম বজ্রপাতের মতো। হুট করেই কোনো মানুষকে দেখে ভালো লেগে যায়। ভাল লাগার এই অনুভূতিটা দ্রুত আসলেও বিয়ে করার সিদ্ধান্তটা কিন্তু সবাই অনেক ভাবনা-চিন্তার পর নিতে চান। চাওয়া পাওয়ার অমিলে সেই প্রেম আবার অনেকের উবেও যায়।
তবে অল্প কিছু মানুষের জীবনে সত্যিকারের প্রেম আসে। যারা শত বাধা অতিক্রম করে কেবল ভালবাসার সেই মানুষটাকে আপন করে পেতে চান। সেই সম্পর্কে সঙ্গীর শরীরের প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
ভারতের এসিডদগ্ধ ললিতা বেন বানসি (২৬) সেরকম একজন সঙ্গীর দেখা পেয়েছেন। যার কাছে ললিতার ঝলসে যাওয়া মুখ কোনো রকম বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। হাসিমুখে ললিতার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ২৭ বছর বয়সী রবি শংকর। আরও আশ্চর্যের বিষয় ললিতা তাকে খুঁজে পেয়েছেন রং নম্বরে।
২০১২ সালে এক ‘আত্মীয়’ ললিতার মুখে এসিড নিক্ষেপ করেছিল। এতে তার ঝলসে যাওয়া মুখে ১৭ বার সার্জারি করাতে হয়েছে।
মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী এক এলাকায় সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে বলিউডের অভিনেতা বিবেক অবিরয় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এসিডদগ্ধদের এক অনুষ্ঠানে ললিতার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল।
বিবেক বলেন, রবি শংকর সত্যিকারের হিরো। ললিতার প্রতি রবির ভালবাসাকে স্যালুট জানান তিনি।
এসিডদগ্ধ হয়েও রবির মতো কাউকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি ললিতা। তার কাছে এরকম ভালবাসা পাওয়াটা মিরাকলই বটে।
তবে সিসিটিভি কোম্পানিতে কর্মরত রবি শংকর বলছেন, আমি প্রথম দেখাতেই ললিতাকে ভালবেসে ফেলেছি। তাই বিয়ের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হয়নি। রবির এই নিখাদ ভালবাসা নিঃস্বার্থ ভালবাসার উদাহরণ হয়েই থাকবে।
কেএ/টিটিএন/এমএস