ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

জয়ের পথে রুশনারা এগিয়ে টিউলিপ

প্রকাশিত: ০৪:০৩ এএম, ০৮ মে ২০১৫

গণতন্ত্রের সূতিকাগার ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বান্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ড. রূপা হক ইতিমধ্যে ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

ভোট গণনায় দেখা গেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সদস্য রুশনার আলী জয়ের পথে রয়েছেন। এছাড়া ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক।

লেবার পার্টির এমপি রুশনারা আলী আগে থেকেই ব্রিটেনে সুপরিচিত। রুশনারা আলী (৪০) বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। ২০১০ সালের নির্বাচনে এ আসনেই সাড়ে ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে প্রথম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মুসলিম এমপি হয়ে ইতিহাস গড়েন রুশনারা। এ আসনের ৮০ হাজার ভোটারের প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। রুশনারা দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির অন্যতম নীতিনির্ধারক। দলটির ছায়া মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন তিনি।

লেবার পার্টির হয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক (৩৩) লড়ছেন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে। ভোটারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন টিউলিপ। ২৩ বছর ধরে লেবার পার্টির দখলে রয়েছে এ আসনটি। কিন্তু এবার জটিল এক সমীকরণে রয়েছে এ আসন। ২০১০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবারদলীয় প্রার্থী গ্গ্নেন্ডা জ্যাকসন অনেকটা হারতে হারতেই মাত্র ৪২ ভোটে জিতে যান এ আসনে। এ কারণেই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবার এ আসনটিকে টার্গেট সিট বানিয়েছে।

তবে আশার খবর হচ্ছে, সর্বশেষ প্রাক-নির্বাচনী জরিপে টিউলিপের পক্ষে ৪৮ শতাংশ ভোটার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। বিপরীতে তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী টোরি সায়মন মার্কাস ৩২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। নিজের এলাকা ক্যামডেন বরো কাউন্সিলের কেবিনেট সদস্য হিসেবে স্থানীয় স্কুল ও হাসপাতাল রক্ষায় লড়াই করে দরিদ্রদের আস্থা পেয়েছেন টিউলিপ। কিশোর বয়স থেকেই টিউলিপ এ এলাকায় বড় হয়েছেন, স্কুলে পড়েছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি যোগ দিয়েছিলেন লেবার পার্টিতে। ২০১০ সালে টিউলিপ ক্যামডন কাউন্সিলে প্রথম বাঙালি হিসেবে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। টিউলিপের এ আসনটি ব্রিটেনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাঙালি অধ্যুষিত।

এএইচ/পিআর