রাক্কায় অভিযানে অংশ নেবে না তুরস্ক
সিরিয়ায় আইএসের স্বঘোষিত রাজধানী রাক্কায় অভিযানে অংশ নেবে না তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এ কথা জানিয়েছেন। খবর সিএনএন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস সফরের পর তুরস্কের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে আলাপকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। কারণ হিসেবে তুরস্ক জানিয়েছে, কুর্দি গেরিলাদের তারা জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করলেও কুর্দিদের সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাসন।
এরদোগান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাক্কায় ব্যাপক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, যেখানে জঙ্গি সংগঠন আছে, আমরা তাদের সঙ্গে অভিযানে নামব না। আপনাদের যা ভালো মনে হয় করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, কুর্দিদের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অভিযান চালাতে যাচ্ছে। কিন্তু জঙ্গি সংগঠনগুলো কোনোরকম হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ালে নিজেরাই তা প্রতিরোধ করবো। এজন্য কারও পরামর্শের দরকার হবে না।
কুর্দি সশস্ত্র সংগঠন পিপলস প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজে) ও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্ক থেকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই কুর্দি পিকেকে গেরিলা জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে। কিন্তু সিরিয়ার কুর্দি গেরিলাদেরকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে নিয়েই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাচ্ছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু বৃহস্পতিবার জানায়, মার্কিন বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগার্ককে অপসারণের দাবি তুলেছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুশোগ্লু। তার দাবি, ম্যাকগার্ক কুর্দিদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র ম্যাকগার্কের পরিবর্তে অন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারে।
ম্যাকগার্ক পরিষ্কারভাবে পিকেকে ও ওয়াইপিজি`কে সমর্থন করছেন। তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো হবে বলে মনে করেন চাভুশোগ্লু।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ম্যাকগার্কের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
কেএ/এএইচ/পিআর