বিয়ের মণ্ডপ থেকে প্রেমিককে ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন ‘রিভলভার রানী’
বিয়ের মঞ্চে এসইউভি গাড়ি নিয়ে পৌঁছালেন তিনি। তারপর বরের মাথায় ঠেকিয়ে ধরলেন রিভলভার। এরপর বলা শুরু করলেন, ‘এই মানুষটি আমাকে ভালোবাসে; কিন্তু অন্য একজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। আমি এটি হতে দেব না।’
২৫ বছর বয়সী এই তরুণীর সঙ্গে আরও দুই যুবক ছিল। তিনজন মিলে বিয়ের মণ্ডপ থেকে বরকে অপহরণ করে নিয়ে যান। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিয়ের মঞ্চে জিম্মিদশা তৈরি করে বরকে অপহরণের এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখন্দ এলাকায়।
স্থানীয়রা বলছেন, বর অশোক যাদব এখনও নিখোঁজ। কয়েক মাস আগে অপহরণকারী ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার। দুজনের সেই দেখা রূপ নেয় ভালোবাসায়। অনেকেই বলছেন, তারা দুজন গোপনে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরিবারের চাপে তাদের পছন্দের এক তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হয় যাদব।
এ ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন কনে ভারতী যাদব। নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, কোনো শত্রুও যেন এ ধরনের শাস্তি না পায়।
তবে এ ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করে যাদবের বাবা রামেত যাদব বলেন, আমার ছেলেকে নিয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছেলের কর্মস্থলে যখন যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, তখন সে আমাকে যেতে দেয়নি। এর বদলে আমরা একটি মন্দিরে সাক্ষাৎ করেছিলাম। পরে মন্দিরের কাছের একটি দোকানে আপ্যায়ন করানোর পর আমাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয় সে।
এদিকে বিয়ের মণ্ডপ থেকে বরকে অপহরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছে কনের পরিবার। পুলিশ এ ঘটনায় ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়েছে। তবে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ওই ‘রিভলভার রানী’র প্রশংসা করেছেন। তারা বলছেন, ওই তরুণী যা করেছে সেখান থেকে অনেক নারী শিক্ষা নিতে পারে যে, বিশ্বাসঘাতকতা করলে শাস্তি পেতে হবে।
সূত্র : এনডিটিভি।
এসআইএস/এমএস