ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যযুগের খেরুর মসজিদ

প্রকাশিত: ০৭:১৮ এএম, ০৭ মে ২০১৫

টেরাকোটার কারুকার্যে আগাগোড়া সজ্জিত হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির সমন্বয়ে নির্মিত পাঠান আমলের খেরুর মসজিদটি ভূমিকম্পের অভিঘাতে ধ্বংসের মুখে। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ওই মসজিদের প্রধান গম্বুজটি ভেঙে যায়। এ বছর ২৫ ও ২৬ এপ্রিলের ভূমিকম্পে বড় বড় বেশ কয়েকটি ফাটল ধরেছে। মসজিদটি পূর্ব দিকে ও দক্ষিণ দিকে হেলে পড়েছে। ফলে যেকোনো সময় মসজিদটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের সংরক্ষিত খেরুর গ্রামের ওই ‘এক গম্বুজ মসজিদ’ এখন থেকে ৫২০ বছর আগে ১৪৯৫ খ্রিস্টাব্দে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলের। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের কলকাতা অঞ্চলের পুরাতত্ত্ববিদ গৌতম হালদার বলেন, আর কোথাও টেরাকোটার সজ্জায় অলঙ্কৃত এ রকম কোনো মসজিদ রয়েছে বলে অন্তত আমার জানা নেই।

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার শেখদিঘি গ্রাম লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড় থেকে দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে খেরুর গ্রাম। ওই গ্রামের একটি ক্লাবঘর নির্মাণের সময় ১৯৭৮ সালে মাটির এক মিটার নিচ থেকে পাওয়া যায় পাল-সেন যুগের কালো পাথরের একটি স্থানিক বিষ্ণুমূর্তি।

ইতিহাস গবেষক বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের লেখা ‘পশ্চিমবঙ্গের পুরাসম্পদ’ গ্রন্থে লিখেছেন, খেরুর গ্রামটি প্রাচীন। হিন্দু-বৌদ্ধ যুগেও গ্রামটির অস্তিত্ব ছিল। সুলতানি আমলেও এটি একটি প্রসিদ্ধ জনপদ ছিল বলে মনে করা হয়।

ওই গ্রামের বেশ উঁচু একটি ঢিবির উপর পূর্বমুখী মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের সেনাপতি মুয়াজ্জম খাঁ। মসজিদের সামনের দেওয়ালের মূল প্রবেশদ্বারের ওপর নিবদ্ধ রয়েছে কালো পাথরের দু’টি ফলক। তাতে আরবি হরফে মসজিদটির নির্মাণ কাল খোদাই করা রয়েছে।

চুন-সুরকির গাঁথুনিতে বাংলা ইট দিয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়। ভিতরে, বাইরে, দেওয়ালে ও খিলান মিলে সমগ্র মসজিদটি টেরাকোটার ফুল ও লতাপাতায় অলঙ্কৃত।

বিএ/আরআই