অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কাতারে ৭টি নতুন শহর
২০২২ এর বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতারে গড়ে উঠছে সাতটি নতুন শহর। আর এই শহরগুলো তৈরি হচ্ছে শুধুমাত্র সেদেশে অবস্থানরত আড়াই লাখ অভিবাসী শ্রমিকদের বাসস্থানের জন্য।
সম্প্রতি দোহায় কাতারের শ্রম এবং সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ বিন সালেহ আল খুলাইফি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাতটি শহরের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির নির্মাণ কাজ শেষ হবে আগামী বছরের মধ্যেই। ‘শ্রমিক শহর’ নামের এই শহরে বাসস্থান পাবে মোট ৭০ হাজার অভিবাসী শ্রমিক। শহরটিতে একটি শপিং মল, ক্লিনিক এবং কাতারের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ থাকছে। থাকছে ২৪ হাজার আসনের একটি স্টেডিয়ামও।
সরকারী ও বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে হাতে নেয়া এ প্রকল্পে মোট খরচ কত হচ্ছে তা জানা না গেলেও ‘শ্রমিক শহর’-এর ৫৫টি দালান গড়তে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই বাসস্থান বরাদ্দ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন দোহাভিত্তিক সরকারী সূত্র।
বিশ্বকাপের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজে কাতারে এখন বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি শ্রমিকও।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে তাদের অস্বাস্থ্যকর আবাসনের সমালোচনার প্রেক্ষিতে কাতার সরকার এই শহর গড়ে তোলার কাজ হাতে নেয়। এই সাতটি শহরে কাতারের মোট অভিবাসী শ্রমিকের ২৫ শতাংশকেই বাসস্থান সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
বড় শহরটি বাদে বাকি শহরগুলোর প্রতিটিতে প্রায় ২৮ হাজার শ্রমিকের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সবধরণের আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মন্ত্রী খুলাইফি জানিয়েছেন, তারা এই বাসস্থান সরবরাহ তত্বাবধানে পরিদর্শকের সংখ্যা ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করছেন এবং নিশ্চিত করছেন পুরো প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ হয়।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে তারা এও বলছে, সমস্যাটা আদতে বাসস্থানের নয়, বরং প্রশাসনে, যার সমাধানও জরুরী।
এসআরজে