খবর পড়তে গিয়ে কেন কাঁদলেন উপস্থাপিকা?
নিজের শো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংবাদ পাঠের মধ্যেই হঠাৎ সে কথা জানাতে হলো উপস্থাপিকাকে। চোখের পানি তাই আর বাধ মানেনি। পঞ্চান্ন সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে ফুটে উঠেছে ইসরায়েলের সরকারি টেলিভিশনের সেই কান্নারত উপস্থাপিকার মুখ।
গেউলা ইভেন নামের ওই উপস্থাপিকা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। সামলে নিয়ে কাঁপা গলায় তিনি বলেন, ‘একটা ব্রেকিং নিউজ। পার্লামেন্টে বিবৃতি... না আসল কথাটা হলো, আজ রাতেই আমাদের এই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটাই শেষ পর্ব। তাই অনুষ্ঠানের বাকি অংশ আসলেই অপ্রাসঙ্গিক।’
অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলে চলেন, ‘অনেক মানুষ কাজ হারাবেন। আশা করি, সকলে নতুন চাকরি খুঁজে পাবেন।
ইসরায়েলের সরকারি ‘চ্যানেল ওয়ান’-এর ফেসবুক পেজে ৯ মে ওই উপস্থাপিকার ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করা হয়। তারপর থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার বার সেটি দেখা হয়েছে। প্রায় দু’হাজার বার শেয়ারও হয়েছে। এক ব্রিটিশ চ্যানেলের দাবি, ইসরায়েলি চ্যানেলটি যে কিছু দিনের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হবে, তার ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিলেন কর্মীরা।
কিন্তু এভাবে সেটা হবে, কেউ ভাবতে পারেননি। ইসরায়েলের একটি সংবাদপত্রের মতে, কর্মীদের ধারণা ছিল অন্তত ১৫ মে পর্যন্ত চ্যানেল চালু থাকছে। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। রাতের খবর সম্প্রচারের মধ্যেই ওই ঘোষণা দেওয়া হয়। শেষ বেলায় সব কর্মী ক্যামেরার সামনে হাজির হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেও জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শেষ করেন তাদের শো।
একটি ব্রিটিশ দৈনিকের দাবি, রাজনৈতিক লড়াইয়ের কারণেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু চ্যানেলটি বন্ধ করে দিলেন। নেতানিয়াহুর দাবি, সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে চ্যানেল বন্ধ করা হচ্ছে। এর বিকল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে।
টিটিএন/পিআর