ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতের বিরুদ্ধে লড়তে জঙ্গিদের জোট

প্রকাশিত: ০৫:৩২ এএম, ০৫ মে ২০১৫

উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি প্রধান জঙ্গি সংগঠন একজোট হয়ে `দি ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ওয়েস্টার্ন সাউথ ইস্ট এশিয়া` গঠন করেছে। ১৭ এপ্রিল এনএসসিএন, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম উলফা, এনডিএফবি এবং কেএলও মিলে নতুন এই ফোরাম গঠন করেছে। নতুন সংগঠনের চুক্তিপত্রে কেএলওর চেয়ারম্যান জীবন সিংহর (কোচ) স্বাক্ষর রয়েছে। এই চারটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে রাজ্য ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করার ডাক দিয়েছে।

নাগাল্যান্ডের জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএনের চেয়ারম্যান এসএস খাপলাং (উলফা) (১) চেয়ারম্যান ড. অভিজিৎ আসাম, এনডিএফবির সভাপতি বি সাও রাইগওরা এবং কেএলও চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন। নতুন এই সংযুক্ত ফোরামের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এসএস খাপলাংকে। উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম-দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে পৃথক রাষ্ট্র গড়ার ডাক দিয়েছে এই সংগঠন।

চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, ভারতের সংবিধান তারা মানেন না। ভারতের মতো রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী দিয়ে যেভাবে দমনপীড়ন করছে, তার বিরুদ্ধে তারা সশস্ত্র সংগ্রাম গড়ে তুলবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েক বছর ধরে উলফা যুদ্ধ বিরতিতে রয়েছে।

নাগাল্যান্ডের এনএসসিএন এবং এনডিএফবি সম্বিজিৎ গ্রুপ এবং কেএলও সক্রিয় থাকলেও সল্ফপ্রতি আসামে জঙ্গি খেদাও অভিযানের জেরে এই জঙ্গি সংগঠনগুলো কার্যত আত্মগোপন করে। এ অবস্থা থেকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করার জন্য ১৭ এপ্রিল উত্তর-পূর্ব ভারতের গোপন ডেরায় এই চারটি সংগঠন সংগঠিত হয়ে এই নতুন ফোরাম তৈরি করেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে এখন জঙ্গিবিরোধী অভিযান বন্ধ থাকায় নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপগুলো। কয়েক বছর ধরে এনডিএফবির তত্ত্বাবধানে কেএলও গোপন অস্ত্র প্রশিক্ষণ মিয়ানমারে হয়েছে।

 কেএলওতে উত্তরবঙ্গে প্রথম সারির নেতা টম অধিকারী, মালখান সিং এমনকি প্রাণনারায়ণ কোচথ তারা সবাই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খাটছেন। কেএলওর কেন্দ্রীয় কমিটির উত্তরবঙ্গে একমাত্র জীবন সিং বাদে অধিকাংশ শীর্ষ স্থানীয় নেতাই ধরা পড়ে গেছেন। এ অবস্থায় উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম সারির জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘেরিয়া জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এর সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। মূলত সতর্কতামূলক ব্যবস্থার দিক থেকেই আমরা বিষয়টিকে দেখছি। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে কেএলওর কোনো অস্তিত্ব নেই বলেও আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ দাবি করেছে।

এএইচ/এমএস