পশ্চিমবঙ্গের বাম বলয়ে অশান্তির কারণ ‘মমতা’
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানে বেসামাল শাসক তৃণমূল ও সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। কেন্দ্রে থেকে পশ্চিমবঙ্গ সর্বত্র বিজেপিবিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা ব্যানার্জি।
মোদির বিরোধিতায় মমতার সমকক্ষ কেউ না থাকায় সিপিএম এখন মমতার সঙ্গ চাইছে। দুই সিপিএম নেতার মমতার সঙ্গে জোটের দাবিও তুলেছেন। যা ঘিরে অশান্তি শুরু হয়েছে বাম শিবিরে।
গত সপ্তাহে শিলিগুড়িতে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে যেতে আপত্তি নেই তাদের। আর তিনদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক আবাসনমন্ত্রী তথা উত্তর চব্বিশ পরগনার সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম দেব বলেছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছি। বিজেপি ঠেকাতে সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলে আসতে চাইলে বিমান বসুর সঙ্গে আলোচনা করুক। এতে আপত্তির কি আছে? যদিও সীতারাম ও গৌতম দেবের মমতার সঙ্গে জোটের বার্তা প্রকাশ্যে নস্যাত করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
বিমান বসু বলেন, তৃণমূল দক্ষিণপন্থী দল। তবে শুধু দক্ষিণপন্থার মধ্যে নেই, নানান বর্ণের। ওদের বিশ্বাস করা কঠিন। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপকভাবে বোঝাপড়া আছে। মুখে যাই বলুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরছে। বিরোধীদের সভার জন্য মাঠ-সভাঘর দিচ্ছে না। এটা গণতন্ত্র নয়। দক্ষিণপন্থী রাজনীতির ধারক-বাহক বিজেপি ও তৃণমূল। আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও বিজেপির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সীতারাম ইয়েচুরি ও গৌতম দেবের প্রকাশ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বার্তার বিরুদ্ধে যেভাবে সভায় দাঁড়িয়ে বিমান বসুরা বিরোধিতা করলেন তা বাম দলে নজিরবিহীন।
বামফ্রন্টের সংসারে এ অশান্তি খানিকটা কমিয়ে দিলেন তৃমমূলের প্রভাবশালী নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মুকুল রায়। মুকুল রায় সোমবার বলেন, বিজেপি ঠেকাতে বামদের হাতধরার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল একাই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষ দেখেছে উন্নয়ন করতে হলে মমতা ব্যানার্জিকে সর্মথন করতে হবে। তাই পাহাড় থেকে সমতল সব পৌরসভাতে তৃণমূল ভালো ফল করবে। তিনি বিরোধীদের প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল একাই একশ। রাজ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের জন্য লড়াই করছে বিরোধীরা।
এসএইচএস/এমএআর/পিআর