ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : ২য় দফার ভোট আজ

প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ০৭ মে ২০১৭

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট আজ। প্রথম দফার ভোটে বিজয়ী হয়েছেন উদার মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং কট্টর-ডানপন্থি দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এফএন) প্রার্থী মেরিন লে পেন। দ্বিতীয় দফার ভোটে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে যে বেশি ভোট পাবেন তিনিই হবেন ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির। 

এদিকে, নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটের মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই ইমানুয়েল ম্যাক্রোর প্রচারণা শিবির ব্যাপক কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের শিকারের অভিযোগ করেছে। ওই অভিযোগের পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেছেন, সম্ভাব্য বিজয়ী ইমানুয়েল ম্যাক্র যে বড় ধরণের হ্যাকিং এর শিকার হয়েছেন সেটার জবাব দেয়া হবে।

দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে ওঁলাদ বলেন, সবাই জানতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা ঝুঁকির মধ্যে পরতে পারে।

তিনি মূলত এসময় মার্কিন নির্বাচনের সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে হ্যাকিং এর অভিযোগ উঠেছিল সেটাকেই ইঙ্গিত করেছেন।

ইমানুয়েল ম্যাক্র এবং মেরিন লে পেন উভয়কেই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে এই হ্যাকিং এর ঘটনা নির্বাচনের ফলাফলে খুব বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ফরাসি কর্তৃপক্ষ গতকাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নির্বাচনের প্রাক্কালে কেউ প্রচার করলে ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।

ফ্রান্সের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী।

লে পেন ২০১১ সালে তার বাবার কাছ থেকে ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতৃত্ব নেন এবং এরপর থেকে দলের চরমপন্থি অতীত থেকে সরে আসার চেষ্টা করছেন।

অপরদিকে ৩৯ বছর বয়সী সাবেক বিনিয়োগ ব্যাংকার ম্যাক্র প্রেসিডেন্ট ওঁলাদের অধীনে অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।

নির্বাচনের প্রধান একটি ইস্যু বেকারত্ব। দেশটিতে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ। ২৮টি ইইউভুক্ত দেশের মধ্যে বেকারত্বের দিক দিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান অষ্টম।

নির্বাচনের আরেকটি প্রধান ইস্যু নিরাপত্তা। ফ্রান্স এখনো জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, ইরাক এবং সিরিয়ায় যুদ্ধে যাওয়া শত-শত ফরাসী মুসলিম তরুণ হয়তো দেশে ফিরে নানা ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করবে।

এখন নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যিনি জয়লাভ করবেন তার উপর অন্যান্য চ্যালেঞ্জের আগে এই দুই সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।

টিটিএন/এমএস

আরও পড়ুন