ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতে শাড়ি পরার জন্য সামাজিক মাধ্যমে আহ্বান

প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ০২ মে ২০১৫

ভারতে বরাবরই মেয়েদের প্রিয় একটি পোশাক হিসেবে সুপরিচিত শাড়ি। দৈনন্দিন ব্যস্ততায় ধীরে ধীরে শাড়ির বদলে, সহজ-স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করা যায় এমন পোশাকই বেছে নিতে শুরু করেন মেয়েরা। কিন্তু নারীদের আবার শাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অভিনব এক উদ্যোগ শুরু হয়েছে ভারতে।

দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুর দুই বান্ধবীর আক্ষেপ ছিল, পোশাক হিসেবে শাড়িই তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকলেও, খুব কম সময়ই তারা এই পোশাকটি পরেন। কেননা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরার জন্য শাড়ির বদলে ব্যবহারিক পোশাক হিসেবে জিনস বা সালোয়ার-কামিজই প্রাধান্য পেয়েছে অনেক বেশি। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের পোশাক হিসেবে বরাবরই শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে শাড়ি।

এ কারণে গত মার্চ মাসের শুরু থেকে বেঙ্গালুরুর দুই নারী ব্যবসায়ী আলী মাথান এবং আঞ্জু মোঘল কদম ভারতীয় নারীদেরকে সপ্তাহে অন্তত দুটি দিন কিংবা বছরে অন্তত ১০০ বার শাড়ি পরার জন্য আহ্বান জানান। আর তাদের এই আহ্বানে রীতিমত সাড়া পড়ে যায় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে।

এরপর টুইটারে তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শাড়ি পরে নিত্য-নতুন ছবি পোস্ট করতে থাকেন ফলোয়াররা। ফেসবুকেও ১০০ দিন শাড়ি পরার লক্ষ্য নিয়ে ওয়েব পেইজ খোলা হয়। সেই পেইজেও শাড়ি পরার ছবি, অনুভূতি ভাগাভাগি করেন সদস্যরা।

শাড়িকে তারা কতোটা ভালোবাসেন, কেন ভালোবাসেন, কবে কোথায় কোন অনুষ্ঠানে শাড়ি পরার সুযোগ হলো সে সবই শেয়ার করছেন সদস্যরা।

এ রকম একটি ফেসবুক পাতায় একজন নারী নিজের শাড়ি পরা ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন `পরপর দুদিন দুটো অনুষ্ঠানের কারণে আমার প্রিয় পোশাক শাড়ি পরার সুযোগ হরো, সেই সাথে সুযোগ হলো ছবি শেয়ারেরও।`

আঞ্জু মোঘল কদম বলেন, প্রতিটি শাড়ির ক্ষেত্রে একেকটি উপলক্ষ, আবেগ বা সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে এক ধরনের স্মৃতি তৈরি হয়। যখন আপনি শাড়ি পরবেন আপনার মধ্যে অন্যরকম একটি দীপ্তি কাজ করবে।

তিনি বলেন, তারা মনে করেন না যে ভারতে শাড়ি কখনো একেবারে হারিয়ে যাবে। তবে এর মধ্য দিয়ে তারা এই পোশাকটির বৈচিত্র্য ও উজ্জ্বলতাকে আবার তুলে ধরতে চান।

বিএ/আরআইপি