একই ছাদের নিচে ভজন-কাওয়ালি
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য এক উদাহরণ রয়েছে ভারতের রাজস্থানের আলওয়ার জেলায়। সম্প্রীতির এ উদাহরণ তৈরি হয়েছে- সায়ীদ দরবার মাজার ও সঙ্কট মোচন বীর হনুমান মন্দির ঘিরে।
এ দুই ধর্মীয় উপাসনালয় পৃথক করতে কোনো দেয়াল পর্যন্ত নেই। আর বৃহস্পতিবার ভজন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একই মাইক্রোফোন, লাউডস্পিকার, ঢোল, হারমোনিয়াম ইত্যাদি ব্যবহার করে বসে কাওয়ালির আসর; যেখানে আল্লাহর প্রশংসা করা হয়।
সাধারণত মন্দিরের গেট দিয়েই ভেতরে প্রবেশ করেন ভক্তরা। সেখানে প্রার্থনা করে কপালে টিকা লাগিয়ে তারা এগিয়ে যান দরগাহর দিকে। সেখানে তারা কবরে চুমু খান।
এখানে নিয়মিত আসেন সুষমা আগারওয়াল নামে এক নারী। তিনি বলেন, আমি এখানে প্রথম আসি এক দশক আগে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আমাকে দুটি আলাদা জায়গায় নিয়ে যাবে আমার শাশুড়ি। কিন্তু ওখানে গিয়ে আমি খুবই অবাক হয়েছি।
তবে সম্প্রীতির এই বন্ধনে অবাক হওয়ার বিষয়ে ঘোর আপত্তি রয়েছে দুই উপাসনালয়ের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক মোহন্ত নাওয়াল বাবার। তিনি বলছেন, দু’টি উপসনালয়ই একই পথ দেখায় এবং দুটি পথই সমান সম্মানের। এতে সমস্যাটা কোথায়?
এনএফ/পিআর