ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের তিন গ্যাসক্ষেত্র চীনের কাছে বিক্রি করল শেভরন

প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি শেভরন বলছে, বাংলাদেশে তাদের তিনটি গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র চীনা প্রতিষ্ঠান হিমালয় এনার্জির কাছে বিক্রি করে দিতে সম্মত হয়েছে। চলতি বছর শেভরনের নন-কোর সম্পদ থেকে বিলিয়ন ডলার নগদ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ওই তিন ক্ষেত্র বিক্রি করছে মার্কিন এই কোম্পানি।

মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স শেভরন বাংলাদেশের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কোম্পানির ওই মুখপাত্র চুক্তির মূল্য অথবা কোনো সময়সীমা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, শেভরন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিনটি তেল-গ্যাস ক্ষেত্র বিক্রির চুক্তি হয়েছে।

এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা হিমালয় এনার্জির হাতে গেল। 

শেভরনের এই মুখপাত্র বলেন, চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি চায়না ঝেংহুয়া অয়েল অ্যান্ড সিনিক কর্পোরেশন লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিমালয় এনার্জি। ঝেংহুয়া চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি এবং সিনিক ২০১২ সালে হংকংয়ে প্রতিষ্ঠিত চীনের একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এর আগে গত মার্চে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শেভরনের মালিকানাধীন প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের প্রধান প্রধান তেল ও গ্যাসক্ষেত্র ঝেংহুয়া অয়েলের কাছে বিক্রির প্রাথমিক চুক্তির বিষয়ে জানায়।

বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্র কেনার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি খাতে এই প্রথম বড় ধরনের বিনিয়োগ করল চীন। এই অঞ্চলে নয়াদিল্লি এবং টোকিওর সঙ্গে বিনিয়োগ প্রতিযোগিতায় নেমে কয়েক হাজার বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করছে বেইজিং।

শেভরন বলছে, বাংলাদেশের মোট গ্যাস উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক ওই তিন গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন হয়; যা হিমালয় এনার্জির কাছে বিক্রি করা হয়েছে। মার্কিন এই জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান গ্যাসক্ষেত্র বিক্রির মূল্য প্রকাশ করেনি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশের অনুমতি নেই।

ঝেংহুয়ার এক মুখপাত্র এ চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করলেও চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ওপর চুক্তির পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন। তবে যে কোনো ধরনের সম্পত্তি বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানানোর অধিকার আছে বাংলাদেশ সরকারের।

এসআইএস/এমএস

আরও পড়ুন