প্যারিসে হামলা : বিশ্বজুড়ে নিন্দা
ফ্রান্সে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশটির রাজধানী প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য ও হামলাকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় প্যারিসের ব্যস্ততম চ্যাম্পস-এলিসিস এভিনিউতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এভিনিউ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যেই হামলাকারীর পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। আবু-ইউসুফ আল-বালজিকি নামে ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীর ইসলামি চরমপন্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা আগে থেকেই জানা ছিল ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনীর।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, এর আগেও একজন পুলিশ কর্মকর্তার উপর গুলি চালিয়েছিলেন তিনি।
এই হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, ‘এই হামলা এটাই মনে করিয়ে দিল যে, সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হামলা চালাতে পারে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরাত দিয়ে পেন্স বলেছেন, ‘আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।’
এদিকে, ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন? এটা কখনোই শেষ হবে না।’
ওই হামলার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তিনি বলেছেন, ‘হামলার শিকার ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ওই হামলার পর প্রেসিডেন্ট ওঁলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্রিটিশ সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘তারা প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।’
এর আগে ২০১৫ সালে প্যারিসে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ১৩০ জন প্রাণ হারায়। ওই হামলার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ধরনের হামলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, হামলার কারণে শুক্রবারের নির্বাচনী প্রচারণা বাতিল করা হয়েছে।
টিটিএন/পিআর