আগাম ভোটে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন
আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে অধিকাংশ সংসদ সদস্যের ভোটে পাস হয় মে’র প্রস্তাব। ফলে আগামী ৮ জুন দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ক্ষমতার পাঁচ বছরের অর্ধেকেরও কম সময়ের আগে মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন দেশটির ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
২৮ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে শক্তিশালী ম্যান্ডেট লাভের উদ্দেশ্যে এ মধ্যবর্তী নির্বাচনের ডাক দেন তিনি। মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার বিষয়ে অালোচনা করতে সঠিক পরিকল্পনা দরকার। এছাড়া তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক ঐক্য চান বলে জানান।
আগাম নির্বাচনের বিষয়ে পার্লামেন্টে বিতর্কের পর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৬৫০ সংসদ সদস্যের মধ্যে ৫২২ জন ৮ জুনের নির্বাচনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ প্রস্তাব পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৩ জন সংসদ সদস্য।
এর আগে একাধিকবার আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন থেরেসা। কিন্তু পূর্বের অবস্থান থেকে হঠাৎ ইউটার্ন নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসে থেরেসার এক সংবাদ সম্মেলনে।
ব্রিটেনের রাজনীতিতে চলতি বছরের সর্বশেষ বাঁক হিসেবে দেখা হচ্ছে আগাম ভোটের ঘোষণাকে। গত বছরের ২৩ জুন ব্রেক্সিটের পক্ষে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরপর থেকেই ব্রিটেনের রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন। পরের মাসেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কনজার্ভেটিভ দলীয় রাজনীতিক থেরেসা।
দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন আগাম ভোটের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন।
ব্রিটেনের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে পার্লামেন্টে সদস্যদের ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ায় আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই।
সূত্র : সিএনএন, বিবিসি।
এসআইএস/এমএস