সীমান্তে ১০ লাখের বেশি মাইন পুঁতেছে উত্তর কোরিয়া!
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মাঝেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় উত্তর কোরিয়া ১০ লাখেরও বেশি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ঠেকাতেই এসব মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে।
বুধবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান বলছে, উত্তর কোরিয়ার তথাকথিত অসামরিকীকৃত অঞ্চলে (ডিমিলিটারাইজড জোন- ডিএমজেড) মার্কিন হামলা প্রতিরোধ করাই মাইন পুঁতে রাখার উদ্দেশ্য।
কোরীয় উপদ্বীপকে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত করেছে এই ডিএমজেড এলাকা। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের সময় উত্তর কোরিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর ডিএমজেড এলাকা তৈরি করা হয়। ১৬০ মাইল দৈর্ঘ্য ও আড়াই মাইল প্রশস্ত এ এলাকা।
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্তগুলোর একটি উত্তর কোরিয়া সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় স্থলমাইন ও তাঁরকাটা বসানো হয়েছে। দুই কোরিয়ার চুক্তি অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকার মধ্যে অথবা আশপাশে যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে ডিএমজেড এলাকার ভেতরে এখনও দুপক্ষের বিরুদ্ধে ভারী অস্ত্রশস্ত্র, বন্দুকসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের অভিযোগ রয়েছে।
দ্য সান বলছে, ডিএমজেড এলাকায় ১০ লাখের বেশি মাইন পুঁতে রেখেছে পিয়ংইয়ং। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের সীমান্তবর্তী বেসামরিক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত পানমুনজম গ্রামেও মাইন স্থাপন করেছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এই পানমুনজম গ্রামের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কোরীয় ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য এই পানমুনজম। সোমবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ওই এলাকা সফরে গিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত ধৈর্য্যের সময় ফুরিয়ে গেছে।
এসআইএস/এমএস