শিক্ষককে চড় মারার ভিডিও ভাইরাল
সম্প্রতি চীনের শ্রেণিকক্ষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। চীনের সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ওয়েবো ওই ভিডিওটি পোস্ট করেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে এক শিক্ষার্থীকে চড় মারার পর শিক্ষকের গালেও পাল্টা চড় মারে শিক্ষার্থী।
খারাপ আচরণের জন্য এক শিক্ষার্থীকে বকুনি দিতে থাকেন তার শিক্ষক। এ সময় মুখ বাড়িয়ে শিক্ষককে চড় মারার জন্য প্ররোচিত করতে থাকে ওই শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তাকে চড় মারেন শিক্ষক। সেকেন্ডের মধ্যেই শিক্ষককেও পাল্টা চড় মেরে দেন ওই শিক্ষার্থী। এরপর দুজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি চড় মারা ও ধ্স্তাধস্তি শুরু হয়। কক্ষে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। তবে চীনের কোথায় ওই ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
দুই মিলিয়নের বেশি বার ভিডিওটি দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতবাক হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কাণ্ড দেখেছে মানুষজন। বেশিরভাগই শিক্ষার্থীর উদ্ধত আচরণের সমালোচনা করেছেন। অনেকেই আবার যুক্তি দেখিয়েছেন শিক্ষককে দোষারোপ করে।
জ্যাক জ্যাক নামের একজন লিখেছেন, মেয়েটিকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের করে দিন। এতে তার পড়াশোনা বন্ধ হবে না। তার চেয়ে তাকে একটি সতর্ক বার্তা দিন। সে যদি তাতেও ঠিক না হয় তবে বহিষ্কার করুন। ইচ্ছে হলে তার বাবা-মা তাকে অন্য কোনো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিতে পারে। দেখুন কার ক্ষতি হলো। মারধরের তো কোনো দরকার নেই। শিক্ষকেরই ভুল হয়েছে।
মোনা মোনা নামের একজন লিখেছেন, আঘাত করার কোনো অধিকার শিক্ষকের নেই। এমনকি শিক্ষার্থী যদি ভুল করে তারপরেও নয়। আচরণ কেমন হবে তা শেখানোর দায়িত্ব শিক্ষকের। আচরণের মাধ্যমে শিক্ষক তাদের কাছে উদাহরণ তৈরি করবেন। অথচ ওই শিক্ষক দজ্জালের মতো আচরণ করেছেন। অবশ্য তার পশুর মতো আচরণ দেখে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
ইগুইন ওয়াং নামের একজন মন্তব্য করেছেন, কিছুদিন আগেই আমরা আমাদের শিক্ষকদের আঘাত করার মতো চিন্তাই করতে পারতাম না। ছোটোরা এখন বড়োদের সম্মান করে না, শিক্ষকদের এমনকি বাবা-মাকেও সম্মান করে না। এটা যুক্তরাষ্ট্র নয়। তুমি যা ইচ্ছা তা করতে পারো না।
কেএ/টিটিএন/জেআইএম