ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভোট দিচ্ছে তুরস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশ্নে তুরস্কে গণভোট চলছে। ফলাফল ইতিবাচক হলে ক্ষমতার মেয়াদ বাড়বে এরদোয়ানের। ধারণা করা হচ্ছে এই ফলাফলে আধুনিক তুরস্কের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটবে।

জনমত জরিপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ধারণা করা হচ্ছে হ্যাঁ ভোট জয়ী হলে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি।

তবে, গণভোটের ফলাফল ইতিবাচক হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হতে পারে। ন্যাটো সদস্যরা অভিবাসীদের দমন করে আসলেও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, তিনি বিজয়ী হলে বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করবেন।

৫৫ মিলিয়ন ভোটার এক লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। দেশের পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। অন্যান্য স্থানে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ব্যালট সরবরাহ করা হয়েছে।

যেসব পরিবর্তন ঘটবে

রোববার তুরস্কে যে গণভোট হচ্ছে - তার ফল যদি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রস্তাবিত সাংবিধানিক পরিবর্তনের পক্ষে যায়, তাহলে দেশটিতে যেসব পরিবর্তন ঘটবে তা হলো-

এই সাংবিধানিক পরিবর্তনে তুরস্কের পার্লামেন্টারি পদ্ধতির বদলে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন হবে। প্রেসিডেন্ট হবেন নির্বাহী প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও তার সম্পর্ক বজায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করে দুই বা তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ তৈরি করা হবে।

প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। তিনি বাজেট তৈরিসহ মন্ত্রী ও সিনিয়র বিচারপতিদের অধিকাংশকে নিয়োগ দেবেন। এছাড়া ডিক্রি জারি করে কিছু বিষয়ে আইনও করতে পারবেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট একাই জরুরি অবস্থা জারি এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন। পার্লামেন্ট আর মন্ত্রীদের ব্যাপারে তদন্ত করতে পারবে না। তবে, সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে এমপিরা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। এজন্য জন্য দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন লাগবে।

এমপিদের সংখ্যা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিনে হবে। প্রেসিডেন্ট দু’ মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দাবি করেছেন, এ সব পরিবর্তন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া দ্রুততর করবে। কিন্তু তার সমালোচকরা বলছেন, এতে এরদোয়ানের স্বৈরশাসন কায়েম হবে, তুরস্কে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা বাজবে।

কেএ/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন