ট্রেন এলো, আঁচলে চোখ মুছলেন বৃদ্ধা
এখনও দেশে কথা ভোলেননি। মাটির কথা, নদীর কথা এখনও ওদের স্বপ্নে আসে। দেশ ছেড়ে শেষ বার অনেকে এসেছিলেন বাবা-মায়ের হাত ধরে, ট্রেনে চেপেই। তখন কয়লার ইঞ্জিন; ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ট্রেন ছুটত। সেই ট্রেনই ফের ছুটবে জেনে উত্তেজনার প্রহর গুনছিলেন।
শনিবার বেলা দেড়টা নাগাদ ট্রেনের হুইসল কানে এলো। এ পারের ইঞ্জিন টেনে আনল ও পারের বগি। পরীক্ষামূলক ভাবে চলল খুলনা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস-২। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ একটি ইঞ্জিন যায় বেনাপোলে। সেখানে খুলনা থেকে আসা ট্রেনের ছ’টি কামরা অপেক্ষায় ছিল। ভারতের ইঞ্জিন গিয়ে জোড়ে সেগুলির সঙ্গে। বেলা ১টা ৩২ মিনিট নাগাদ পেট্রাপোল স্টেশনে ঢোকে ট্রেন। ফুল দিয়ে সাজানো। সামনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মাঝে বঙ্গবন্ধুর ছবি।
সে সময় দুই নাতনির হাত ধরে ছুটতে ছুটতে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছালেন শীলাদেবী। দূর থেকে ট্রেন দেখতে পেয়ে আঁচলে চোখ মুছলেন। অস্ফূটে বললেন, ‘বাবা-মায়ের কথা মনে পড়ল। ওদের হাত ধরেই শেষ বার এই ট্রেনে চেপে এ দেশে আসি।’
তার পর ইছামতী দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। স্মৃতিতে পলি জমেছে। তবু শনিবারটা ছিল অন্য রকম। বাংলাদেশ ছেড়ে আসা অজস্র মানুষের মনে বহু পুরনো কথা উস্কে দিল এই ট্রেন।
অতীতে খুলনা থেকে শিয়ালদহের মধ্যে ট্রেন চললেও ষাটের দশকে তা বন্ধ হয়ে যায়। খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, যশোর, পটুয়াখালির বাড়ি থেকে ছুটিছাটায় তারা এই ট্রেনে চড়েই এ দেশে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আসতেন। তখনও চুলে পাক ধরেনি। এখন কারও হাঁটুতে ব্যথা তো কারো চলার সাধ্য নেই। তবুও আজ তারা ফিরলেন সেই শৈশবে।
টিটিএন/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বৃষ্টির বাগড়া, কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি
- ২ হাসিনার আমলে গুম ২০০ লোকের খোঁজ মেলেনি: তদন্ত কমিশন
- ৩ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?
- ৪ যেসব অঙ্গরাজ্যে নির্ধারিত হবে ট্রাম্প-হ্যারিসের ভাগ্য
- ৫ যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার শঙ্কায় বিভিন্ন রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা