লন্ডন হামলার দায় স্বীকার আইএসের
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ও ওয়েস্টমিনিস্টারে হামলার দায় স্বীকার করেছে। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে ওই হামলায় অন্তত এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
আইএস নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা আমাক জঙ্গিসংগঠনটির এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেটের এক সৈনিক হাউস অব পার্লামেন্টের পাশে ওই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
আমাক বলছে, সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের মিত্র যুক্তরাজ্যে বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল আইএস। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে হামলায় অংশ নিয়েছে ওই ব্যক্তি।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, তিন ব্যক্তিকে হত্যাকারী ওই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে সহিংস চরমপন্থার অভিযোগের তদন্ত করেছিল নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। বুধবারের ওই হামলায় আরও ২৯ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে হামলাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা এম১৫ ও পুলিশের কাছে হামলাকারীর পরিচয় আছে। জনসমক্ষে তার পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
মে বলেন, আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, হামলাকারী ছিল ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এবং কয়েক বছর আগে সহিংস চরমপন্থায় জড়িত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছিল।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতু ও পার্লামেন্টের বাইরে হামলার পর লন্ডন এবং বার্মিংহামের অন্তত ছয়টি স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে আট সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। এর মধ্যে একটি ফ্লাট থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই তিনজনের সঙ্গে পার্লামেন্টের বাইরের ওই হামলাকারী থাকতেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে পথচারীদের গাড়ি চাপা দেয় ওই হামলাকারী। এ সময় সেতু থেকে পানিতে ছিটকে পড়েন এক নারী। পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে ছুরি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ওই ব্যক্তি।
পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে হামলাকারীর গাড়িচাপা ও ছুরিকাঘাতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৭ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেনে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এসআইএস/আরআইপি