ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের আয়কর নথি ফাঁসে ক্ষুব্ধ হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত: ০৪:৩০ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০০৫ সালের একটি আয়কর বিবরণী ফাঁস হয়েছে। একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ট্রাম্পের ওই আয়কর নথি ফাঁস করেছে। খবর বিবিসির।

টেলিভিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ২০০৫ সালে ৩৮ মিলিয়ন ডলার আয়কর দিয়েছেন। সে বছর তিনি তার আয়কর বিবরণীতে আয়ের পরিমাণ দেখিয়েছেন ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।

নথিতে দেখা গেছে ট্রাম্প যে পরিমাণ আয়কর দিয়েছেন সেটি তার মোট উপার্জনের ২৪ শতাংশ। সাধারণত আমেরিকানরা গড়ে যে পরিমাণ আয়কর দেন এটি তার চেয়ে বেশি।

তবে আমেরিকার উচ্চ আয়ের লোকজন গড়ে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ আয়কর দেন। কিন্তু ট্রাম্পের দেয়া আয়কর তার তুলনায় কম।

মার্কিন টিভি নেটওয়ার্ক এমএসএনবিসি ট্রাম্পের আয়কর বিবরণী থেকে দুই পাতা ফাঁস করেছে। এর ফলে বেশ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস।

কারণ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প তার আয়কর বিবরণী প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। মার্কিন নির্বাচনে যারা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়, তারা সবসময় তাদের আয়কর বিবরণী প্রকাশ করেন। ১৯৭৬ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিরা এ রীতি পালন করছেন।

যদিও আইন অনুযায়ী আয়কর প্রকাশের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এটা সে দেশের রীতি। কিন্তু ট্রাম্প সে রীতি ভঙ্গ করেছিলেন।

ট্রাম্পের আয়কর নথির দুই পাতা ফাঁস হবার বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কারণ ট্রাম্পের আয় সম্পর্কে এতদিন খুব কমই জানা গেছে। আয়কর নথি ফাঁস হবার ফলে সম্পদের বিবরণ প্রকাশের জন্য ট্রাম্পের উপর চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তির ফেডারেল আয়কর বিবরণী ফাঁস করা একটি অপরাধ। কিন্তু যে টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এ কাজ করেছে তারা বলছে জনস্বার্থে তারা এটি প্রকাশ করেছে।

যে সাংবাদিক এ কাজ করেছেন তিনি বলেছেন, তিনি একটি অজ্ঞাত সূত্র থেকে খামে ভরা ট্রাম্পের দুই পাতার আয়কর বিবরণী পেয়েছেন।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টেলিভিশন চ্যানেলটি নিজেদের খবরের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বেপরোয়া হয়ে গেছে। নিজেদের খবরের কাটতি বাড়াতে এক দশক পুরনো আয়কর বিবরণীর দুই পাতা প্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।


টিটিএন/আরআইপি

আরও পড়ুন