যুক্তরাষ্ট্রের ৮৩ ভাগ বিজ্ঞানের ছাত্রই শরণার্থী বাবা-মায়ের সন্তান
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব নির্বাহী আদেশের মধ্যে একটি ছিল সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি। সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন এই সাতটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প।
মার্কিন আদালত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পরপরই নতুন একটি আদেশে ইরাক বাদে বাকি ছয়টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই সাত দেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিবাসীর বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
অথচ দেশটির বিভিন্ন স্কুলের ৮৩ ভাগ বিজ্ঞানের ছাত্রই শরণার্থী বাবা-মায়ের সন্তান। বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া না হলে কি ঘটতে পারে? অনেকের মতেই শরণার্থীরা দেশটিতে প্রবেশ করতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নে শরণার্থী বাবা-মা এবং তাদের সন্তানরা যে অবদান রাখছেন তা থেকে দেশটি বঞ্ছিত হবে।
ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসির এক নতুন গবেষণায় জানানো হয়েছে, দেশে বিজ্ঞানের ছাত্রদের মধ্যে ৮৩ ভাগ ছাত্রই শরণার্থী বাবা-মায়ের সন্তান। গবেষণার অংশ হিসেবে ইন্টেল সাইন্স ট্যালেন্ট সার্চের মাধ্যমে প্রতিযোগিদের বাছাই করা হয়েছে। সোসাইটি ফর সাইন্স অ্যান্ড পাবলিকের অধীনে প্রতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রের হাই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর বাবা-মা অভিবাসী হিসেবে দেশটিতে কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে অনেকই আবার গ্রীন কার্ডধারী বা মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
মার্কিনিদের সন্তানদের চেয়ে অভিবাসী বা শরণার্থীদের ছেলে-মেয়েরা ওই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছেন। কিন্তু বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা শেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের অনুমতি না পান তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন না।
ইন্টেল সাইন্স ট্যালেন্ট সার্চ ২০১৬তে যে ৪০ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে ১৪ জনের বাবা-মা ভারতীয়, ১১ জনের বাবা-মা চীনা এবং সাত জনের বাবা মা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছেন।
টিটিএন/পিআর