ইয়েমেনে ঘরছাড়া লক্ষাধিক মানুষ
সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে সামরিক জোটের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গত দুই সপ্তাহে নতুন করে এক লাখেরও বেশি মানুষ এখন ঘরছাড়া। মঙ্গলবার জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আল-জাজিরা অনলাইনের।
ইউনিসেফের মুখাপাত্র রজত মাধক জানিয়েছেন, উদ্বাস্তুদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। আল ধালে, সাদা, আবিয়ান, আমরান, হাজ্জা এসব এলাকা থেকে বেশির ভাগ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
নারী ও শিশুদের সহায়তা দিয়ে আসা এই সংস্থার প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, যুদ্ধের মধ্যে পড়ে এ পর্যন্ত ৭৪ শিশু নিহত হয়েছেন এবং ৪৪ শিশু পঙ্গু হয়েছেন। তবে যুদ্ধে নিহত শিশুদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করে ইউনিসেফ।
ইয়েমেনে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি জুলিয়েন হারনেইস বলেছেন, শিশুদের অসহনীয় মূল্য দিতে হচ্ছে। তাদের এ মুহূর্তে রক্ষা করা খুবই প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ এসব শিশুকে বিশেষভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।
এদিকে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে সোমবার সরকারি বাহিনী ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে এ লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, চলমান লড়াইয়ের মুখে রেডক্রস মঙ্গলবার পর্যন্ত ইয়েমেনে জরুরি ত্রাণ-সহায়তা পাঠাতে পারেনি।
এতে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ত্রাণকর্মীরা। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি শিয়া বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে।
চিকিৎসক ও সামরিক সূত্র বলছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী এডেনে প্রেসিডেন্ট আব্দো রাব্বো মানসুর হাদির অনুগত বাহিনী এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জন নিহত হয়েছে।
বিদ্রোহীরা এ বন্দরনগরী দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এডেন থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে দেলে শহরে গত রাতে ভয়াবহ লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৯ হুথি ও ১৫ জন হাদিপন্থী মিলিশিয়া নিহত হয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ আবিয়ানে নিহত হয়েছে সাতজন। আবিয়ান প্রদেশের কাছে আল আনন্দ বিমান ঘাঁটি এবং লাজে একটি সামরিক ক্যাম্পে সৌদি জোটের বিমান।
এআরএস/বিএ/পিআর