দক্ষিণ সুদানে দুর্ভিক্ষ : অর্থ সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের
দক্ষিণ সুদানের কিছু অংশে সোমবার দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ছয় বছরে এই প্রথম বিশ্বের কোনো অংশে দুর্ভিক্ষের ঘোষণা এলো। এভাবে ঘোষণা না দেয়া হলেও বহুদিন ধরেই অনাহারের কষ্টে আছে নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের বহু মানুষ। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী প্রায় দুই কোটি মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জরুরি অর্থ সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বড় যে বাধার সামনে আছি তা হলো তহবিল। এই চারটি দেশে এখন মানবিক সাহায্য দিতে গেলে এ বছরে প্রয়োজন পাঁচশো ষাট কোটি ডলারের চেয়েও বেশি। এই বিপর্যয় ঠেকাতে আগামী মার্চের মধ্যেই দরকার অন্তত চারশো চল্লিশ কোটি ডলার।’
অনেকের অঙ্গীকার সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৯০ মিলিয়ন সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যা দরকারের মাত্র দুই শতাংশ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল গত বছর থেকেই দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত রয়েছে। আর সোমালিয়ায় এই অবস্থা চলছে ২০০০ সাল থেকে।
জাতিসংঘের খাদ্য তহবিলের হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সালে সোমালিয়ায় না খেতে পেয়ে মারা গেছে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ যাদের অর্ধেকই শিশু।
ইউনিসেফের মতে, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী মাসের মধ্যে এই চারটি দেশে অন্তত ১৪ লাখ শিশুর মৃত্যু হবে খাবারের অভাবে।
কেবলমাত্র সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের কারণ খরা। বাকি দেশগুলোতে সংঘাত আর মানব সৃষ্ট কারণে ঘটছে এমন বিপর্যয়।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের সঙ্গে চলা সংঘাতে খাদ্য সংকটে অন্তত ৫০ লাখ অধিবাসী আর ৫ লাখ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির প্রধানের মতে, অনেক আগে থেকেই বিশেষভাবে দক্ষিণ সুদানের বিপর্যয়ের কথা বলে আসছেন তারা। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতে কোনো সাড়া দেয়নি।
টিটিএন/আরআইপি