ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আমিরাতে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এক বাংলাদেশির

প্রকাশিত: ০৬:১৭ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সততা এবং ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে আপনি যদি কাউকে বিচার করেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই বিচারের চূড়ায় অবস্থান করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক জহির রহমান।

৪২ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি আরব আমিরাতের দুবাইয়ে থাকেন। তার মাসিক আয় ৭০০ দিরহাম। গত বুধবার দুবাইয়ের একটি পার্কে তিনি জার্মানির এক নাগরিকের একটি মানিব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। মানিব্যাগটিতে নগদ অর্থ ও ক্রেডিট কার্ডও ছিল। জার্মানির ওই নাগরিকের কাছে মানিব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশি জহির।

তার সততা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে আরব আমিরাতের গণমাধ্যম। দেশটির জাতীয় দৈনিক খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে জহিরের সততা ও ন্যায়পরাণতা তুলে ধরেছে। জহির রহমান খালিজ টাইমসকে বলেন, আমি বুধবার বিকেলে কাজ করছিলাম; এ সময় আবু ধাবি চেম্বার অব কমার্সের পাশে একটি বেঞ্চের ওপর কালো মানিব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। আমি জানতাম মানিব্যাগটির মালিক খুঁজতে আসবেন। আর এ জন্যই আমি ওই জায়গায় অপেক্ষা করতেছিলাম।

এক ঘণ্টা পরে আন্দ্রেস ক্রসে নামের এক জার্মান নাগরিক এসে সেখানে বাংলাদেশি জহিরের হাতে মানিব্যাগটি দেখেন। বিনয়ী রহমান কখনো কল্পনা করেননি এটি একটি বড় ধরনের আমানত। তিনি বলেন, এটি অঅমার নয়। সুতরাং আমার ভাবনা ছিল; এটির ওপর আমার কোনো অধিকার নেই। মানিব্যাগটি প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।

বাংলাদেশে জহির রহমানের ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। ১৫ বছর ধরে আরব আমিরাতে কাজ করছেন তিনি। জহিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জার্মানির নাগরিক ক্রসে।

তিনি বলেন, ‘মানিব্যাগটি হারিয়ে গেলে কি ধরনের ঝামেলায় পড়তাম তা আমি কল্পনাও করতে পারি না। মানিব্যাগের ভেতরে আমিরাতের ড্রাইভিং লাইসেন্স, ক্রেডিট, ডেবিট কার্ড, স্বাস্থ্য বীমা ও জার্মানির বিভিন্ন নথি ছিল।’

ক্রসে বলেন, ওই পার্কের বেঞ্চে তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। কাজে ফেরার পর তিনি বুঝতে পারেন মানিব্যাগটি হারিয়ে গেছে। জার্মানির এই নাগরিক বাংলাদেশি জহিরের সততার প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি একজন প্রকৃত নায়ক। তার সততায় আমি মুগ্ধ।’

বাংলাদেশি জহিরের সতায় মুগ্ধ হয়ে ক্রসে তাকে আর্থিক পুরস্কার দিয়েছেন।

এসআইএস/এমএস

আরও পড়ুন