বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিয়েছে মিয়ানমার
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযান সমাপ্তি ঘোষণার পর দেশজুড়ে শান্তি ফিরেছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তের এক নম্বর গেইট খুলে দিয়েছে মিয়ানমার।
গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা পোস্টে হামলার ঘটনায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িকভাবে ওই গেইট বন্ধ রাখা হয়।
সীমান্তের ওই গেইট দিয়ে মাওংতাও এবং রাখাইন রাজ্যে যাওয়া আসা করা যাবে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্যই সীমান্তের দরজা খুলে দেয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরের ৯ তারিখে মাওংতাওয়ের তিনটি সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালায় অস্ত্রধারীরা। সে সময় থেকে চারমাস ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তের সব দরজা বন্ধ করে রেখেছিল মিয়ানমার।
জাতিসংঘের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, মিয়ানমার সেনাবাহিনী হয়তো রাখাইন রাজ্যে মানবতা বিরোধী অপরাধে লিপ্ত। সেখানে জাতিগত নিধনও চালানো হয়ে থাকতে পারে।
জাতিসংঘের এক হিসেব অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
তবে রাখাইন রাজ্যে মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, নির্যাতন এবং গণধর্ষণের মত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। সেসময় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এই ঘটনাকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান বলে উল্লেখ করা হয়।
গত বছরের অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে মাওংতাওয়ে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। এ বছরের চলতি মাসের ১০ তারিখে ওই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে কারফিউয়ের সময় কমানো হয়েছে।
টিটিএন/এমএস