তেঁতুলের পানিতে টয়লেট ক্লিনার মিশিয়ে ফুচকা বিক্রি
ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ফুচকার ওপরেই এবার আনতে হচ্ছে সতর্কবার্তা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং বয়স সব কিছুকে ছাপিয়ে রয়েছে ফুচকার জনপ্রিয়তা।
ফুচকার অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে তেঁতুল পানি। কিন্তু এই মজার খাবারটাতেই যদি মেশানো হয় টয়লেট ক্লিনার তাহলে সাবধান তো হতেই হবে। আহমেদাবাদের লাল দরওয়াজা এলাকার ফুচকা বিক্রেতা চেতন মারভাদির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তিনি ফুচকার স্বাদ বাড়াতে এর মধ্যে টয়লেট ক্লিনার মেশান। অভিযুক্ত ওই ফুচকা বিক্রেতাকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করেছে আহমেদাবাদের একটি বিশেষ আদালত।
স্থানীয় মানুষের দাবি, ফুচকায় অতিরিক্ত স্বাদ আনতে গিয়ে তেঁতুলের পানিতে টয়লেট ক্লিনার মেশাতেন ওই ফুচকা বিক্রেতা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ফুচকার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। সেই রিপোর্টেও অভিযোগের সত্যতা মেলে। দেখা গেছে, তেঁতুল পানির মধ্যে রয়েছে অক্সালিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড টয়লেট পরিস্কারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এরপরেই ওই ফুচকার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযোগকারীদের দাবি, চেতন মারভাদির ফুচকার দোকানের পাশের রাস্তাও টয়লেট ক্লিনারের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সাত বছরের আইনি প্রক্রিয়ার পর গত শনিবার চেতন মারভাদিকে সাত মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে উচ্চতর আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে সাজাপ্রাপ্তের।
টিটিএন/পিআর