প্রথমে প্রেমিকার গায়ে আগুন, পরে ওই আগুনে আত্মহত্যা প্রেমিকের
ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এক তরুণীর গায়ে আগুন দিয়ে পরে ওই আগুনে পুড়েই আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক। কেরালার কোট্টায়ামে মহাত্মা গান্ধী স্কুল অব মেডিকেল এডুকেশনের ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরিতে ঘটেছে এই ভয়াবহ ঘটনা।
অগ্নিকাণ্ডের পর দু’জনেকই কোট্ট্রায়াম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে বুধবার সন্ধ্যায় তারা দু’জনেই মারা যায়। তাদের শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।
বিবিসি হিন্দিকে সেখানকার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল ছয় মাসের মতো। কিন্তু মেয়েটি এক পর্যায়ে ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার পর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি আদর্শ নামের ওই ছেলেটি। এরপর নানাভাবে মেয়েটিকে উত্যক্ত করছিল আদর্শ।
এমনকি পুলিশের কাছে রিপোর্টও করেছিল মেয়েটি। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এইচ নিয়াজ বলেন, পুলিশ ইন্সপেক্টর ওই মেয়ের অভিভাবকদের ও আদর্শকে থানায় ডেকেছিল। আদর্শও লিখিত মুচলেকা দিয়েছিল সে আর মেয়েটিকে বিরক্ত করবে না।
থানার এই ঘটনা এক মাসের আগের। অথচ গতকাল সে পেট্রোল ঢেলে মেয়েটিকে পুড়িয়ে দিল আর নিজেকেও পোড়ালো! - বলছিলেন নিয়াজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ঘটনার দিন মেয়েটি তার ক্লাসরুমে সহপাঠীদের সঙ্গে বসেছিলো। সে সময় হঠাৎ আদর্শ নামের ওই ছেলেটি মেয়েটিকে ডাকে, কিন্তু সে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কিছুক্ষণ পর আদর্শ হাতে কিছু একটা নিয়ে ফিরে এলে মেয়েটি লাইব্রেরির দিকে দৌড়ে যায়। ওখানেই তাকে পেট্রোল ছুড়ে মারে আদর্শ, এরপর নিজের গায়েও সে পেট্রোল ঢেলে দেয়।
‘আমরা জানতাম সে পুলিশের কাছে আদর্শের নামে রিপোর্ট করেছিল’- বলছিলেন ওই শিক্ষার্থী, যিনি মেয়েটির বন্ধুদের একজন। বিবিসি বাংলা।
এসআইএস/পিআর